স্টাফ রিপোর্টার : গত ২০ মার্চ সন্ধ্যা ৭টায় ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরা হলে জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হলো ড্যানিশ মনসুন ফিল্মস ট্যালেন্ট হান্ট-এর গ্র্যান্ড ফিনালে। এর মধ্য দিয়ে গত বছরের ৪ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই জৌলুসপূর্ণ প্রতিযোগিতার সমাপ্তি ঘটেছে। প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে (নায়ক, নায়িকা, খলনায়ক, কমেডি, শিশু, বাবা-মা, সহশিল্পী) ২৫ জনকে নির্বাচিত করা হয়েছে। নায়ক ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত হয়েছেন শাহেদ ও সাব্বির। নায়িকা ক্যাটাগরিতে সারা ও মাহিন। খলনায়ক ক্যাটাগরিতে রাসেল, রিয়াজ, নিক্সন ও মিল্টন। কমেডিয়ান ক্যাটাগরিতে ডা. প্রিন্স ও এ্যানি। শিশুশিল্পী ক্যাটাগরিতে এষা ও রুশদী। বাবা-মা ক্যাটাগরিতে এস ইসলাম, ইউসুফ আলী, তৃপ্তি ও উম্মে সালমা। সহশিল্পী ক্যাটাগরিতে অং মারমা, নাশা, লাকি, মাসুদ রানা, মেহেদি, নিরব ও আরমান। আইটেম গার্ল ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত হয়েছেন অমৃতা। তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এমপি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এ ছাড়া প্রতিযোগিতার সাথে সম্পৃক্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অতিথিবৃন্দ ও বিচারকমÐলী উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে স্টেজে পারফর্ম করেন চিত্রনায়িকা পপি, চিত্রনায়িকা নিপুণ। সঙ্গীত পরিবেশন করেন সংগীতশিল্পী রবি চৌধুরী, হৃদয় খান, সালমা, কণা, দিঠি আনোয়ার। এ ছাড়া মূল আকর্ষণ হিসেবে স্টেজ পারফর্ম করেন অনন্ত জলিল ও বর্ষা। তাদের মনোমুগ্ধকর পারফরমেন্স উপস্থিত সবাই দারুণ উপভোগ করেন। উল্লেখ করা প্রয়োজন, বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের অভিনয়শিল্পী প্রতিভার অনুসন্ধানে মনসুন ফিল্মস ট্যালেন্ট হান্ট-এর এই কার্যক্রম শুরু করে। সারা দেশ থেকে প্রায় তিন লাখ প্রতিযোগী অডিশনে অংশগ্রহণ করে। প্রথম ধাপে ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও রংপুর মোট সাতটি বিভাগীয় শহরে রিজিওনাল অডিশন রাউন্ড কার্যক্রম স¤পন্ন হয়। রিজিওনাল অডিশন রাউন্ড থেকে নির্বাচিত প্রতিযোগীরা পরবর্তীতে ঢাকায় অনুষ্ঠিত ন্যাশনাল রাউন্ড এবং পরবর্তীতে গ্রæমিং রাউন্ড, পারফরমেন্স রাউন্ড ও গালা রাউন্ডের বিভিন্ন ধাপ অতিক্রম করে। সর্বশেষ ৩৫ জন প্রতিযোগীকে নিয়ে গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মনসুন ফিল্মস জানায়, তারা এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে মূলত শিল্পী সংকট মোচনের প্রচেষ্টা হিসেবে। যারা নির্বাচিত হয়েছেন, তারা চলচ্চিত্রে তাদের মেধা ও যোগ্যতার সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে আমাদের চলচ্চিত্রকে এগিয়ে নিতে সহায়ক হবে। তারা নিজেদের প্রমাণ করার পাশাপাশি চলচ্চিত্রকে এগিয়ে নিতে সক্ষম হবে বলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন