শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

অপুষ্টি দূর করতে কাজ করছে পোল্ট্রি শিল্প

পোল্ট্রি মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড পেলেন ৯ সাংবাদিক

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

পোল্ট্রি খাতের সংকট, সম্ভাবনা ও বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে এ বছর বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে মোট ৯ জনকে চলতি বছর পোল্ট্রি মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি) অনুষ্ঠানে এ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. মফিজুর রহমানম, দৈনিক প্রথম আলো’র সহযোগী সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম মুকুল এবং যমুনা টেলিভিশনের বিজনেস এডিটর সাজ্জাদ আলম খান তপু। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি)-এর প্রেসিডেন্ট মসিউর রহমান।
অনুষ্ঠানে টাঙ্গাইলের দৃষ্টি প্রতিবন্ধী খামারি মাসুদ রানা বলেন, ভিক্ষার ঝুলি হাতে না নিয়ে পোল্ট্রি ব্যবসাকে জীবন ধারনের পথ হিসেবে বেছে নিয়েছি। কিন্তু পোল্ট্রি শিল্পই যদি না বাঁচে তবে আমরা বাঁচব কিভাবে? মাসুদ বলেন- বাজারে ডিম ও মুরগির দাম না পাওয়ায় খামারিরা খুব কষ্টে আছে। নিজের খামারকে ভালভাবে দাঁড় করাতে তিনি সরকারের কাছে সহযোগিতা চান। বক্তব্য রাখেন দেশের খ্যাতনামা ক্রীড়াবিদ- কুস্তি, কাবাডি, উশু, রোয়িং-এ জাতীয় পর্যায়ে স্বর্ণপদক বিজয়ী শিরিন সুলতানা। তিনি নিজেও একজন সফল পোল্ট্রি উদ্যোক্তা। ২০১৩ সালে মাত্র ২৪শ’ মুরগি নিয়ে খামার শুরু করেছিলেন, বর্তমানে সে সংখ্যা ৩০ হাজার। শিরিন বলেন- সঠিক পরিকল্পনায় খামার করতে পারলে চাকুরির জন্য জুতা ক্ষয় করার প্রয়োজন নেই। গ্রামের অনেক বেকার যুবক এখন পোল্ট্রি খামার করে স্বাবলম্বী। তবে একদিকে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি এবং অন্যদিকে ডিম-মুরগির দাম পড়ে যাওয়ায় লোকসানে পড়েছেন খামারিরা। মসিউর রহমান বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ডিম ও মুরগির মাংসের দাম রেকর্ড পরিমান কমেছে। খামারিরা অসহায় হয়ে পড়েছে। অনেক কষ্টে গড়া এ শিল্পকে বাঁচাতে হবে। কারণ প্রায় ৬০ লাখ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এ শিল্পের সাথে জড়িত। তিনি বলেন- এখনও দেশের প্রচুর মানুষ অপুষ্টিতে ভুগছে। এ অবস্থার পরিবর্তনে কাজ করছে পোল্ট্রি শিল্প। তথ্য মন্ত্রণালয় আন্তরিক হলে ডিম ও মুরগির মাংস সম্পর্কে সচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণা অনেক সহজ হবে বলে মনে করেন মসিউর রহমান।
জুরি বোর্ডের পর্যবেক্ষণে আব্দুল কাইয়ুম বলেন- বিগত কয়েক বছরে গণমাধ্যমে পোল্ট্রি বিষয়ক রিপোর্টের সংখ্যা বেড়েছে, একই সাথে বেড়েছে এ বিষয়ক প্রতিবেদনের মান। তবে নারী সাংবাদিকদের অংশগ্রহণ বেশ কম। এ বছর রংপুর, বগুড়া, জয়পুরহাট, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম প্রভৃতি জেলা থেকে প্রতিবেদন জমা পড়েছে। তবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ জেলা থেকেই রিপোর্ট আসেনি। রেডিও’র প্রতিবেদনের সংখ্যাও হাতেগোনা দু’একটি।
‘দৈনিক সংবাদপত্র’ ক্যাটাগরিতে প্রথম পুরস্কার পান দৈনিক জনকন্ঠের স্টাফ রিপোর্টার রহিম শেখ। দ্বিতীয় হন- দৈনিক কালেরকন্ঠের সিনিয়র রিপোর্টার আবুল কাশেম এবং তৃতীয় হন- দি ইনডিপেন্ডেন্ট এর বিজনেস রিপোর্টার শরীফ আহমেদ। ‘ঢাকার বাইরে থেকে প্রকাশিত সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন’ ক্যাটাগরিতে একমাত্র পুরস্কার লাভ করেন চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশ এর প্রধান প্রতিবেদক ভ‚ঁইয়া নজরুল।
‘টিভি ও রেডিও’ ক্যাটাগরিতে প্রথম পুরস্কার পান- যমুনা টেলিভিশনের স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট সুশান্ত সিনহা। দ্বিতীয় হন- চ্যানেল-২৪ এর স্টাফ করেসপন্ডেন্ট মাসুম খান এবং তৃতীয় হন- এটিএন নিউজ এর সিনিয়র রিপোর্টার গোলাম কাদির রবু। বার্তা-সংস্থা/অন-লাইন ক্যাটাগরিতে একমাত্র পুরস্কার পান বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বিএসএস) এর স্টাফ রিপোর্টার মহিউদ্দিন কাদের। ‘পোল্ট্রি ও কৃষি বিষয়ক ম্যাগাজিন/অনলাইন’ ক্যাটাগরিতে একমাত্র পুরস্কার লাভ করেন এগ্রিলাইফ২৪.কম এর এস.এম মুকুল। ##

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন