শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ধর্ম দর্শন

আপনার জিজ্ঞাসার জবাব

| প্রকাশের সময় : ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৭, ১২:০০ এএম

প্রশ্ন : আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী কি জান্নাতে যাবে?
উত্তর : আত্মীয়তা ভ্রাতৃত্ব বন্ধনের সেতু। আত্মীয়তার মাধ্যমে পারস্পরিক সম্পর্ক সুদৃঢ় হয়। আত্মীয় স্বজনের হক আদায় করা কোনো করুণার বিষয় নয়। আত্মীয় স্বজনের খোঁজ খবর নেয়া, যোগাযোগ রক্ষা করা, মেহমানদারিতা অবশ্যই পালনীয় কর্তব্য। কোরআনে এরশাদ হয়েছে,‘ আত্মীয় স্বজনকে তাদের পাওনা আদায় করে দেবে, অভাবগ্রস্ত এবং মুসাফিরদেরও।’ (সূরা বনিইসরাঈল:২৬)। যে সকল মানুষ আত্মীয় স্বজনের সাথে সুসম্পর্ক রাখবে না। এবং আত্মীয় স্বজনের হক আদায়ের ব্যাপারে গাফেল থাকবে। ঐ সকল ব্যক্তির সাথে আল্লাহর রাসূল (সা) এর কোনো সম্পর্ক রাখবেন না। আর যে ব্যক্তির সাথে আল্লাহর রাসূল (সা) এর সম্পর্ক থাকবে না। তিনি কখনও জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবেন না। সুতরাং আত্মীয় স্বজনের হক আদায়ের জন্য সব সময় চেষ্টা করতে হবে। হযরত আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত হয়েছে, হযরত রাসুল (সা) এরশাদ করেছেন,‘ আত্মীয়তার সম্পর্ক রহমানের মূল। সুতরাং যে তার সাথে সম্পর্ক বজায় রাখবে, আমিও তার সাথে সম্পর্ক রাখবো। আর যে তার থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করবে, আমিও তার থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করব।’ ( বুখারী:৫৫৯৩)।
ইসলাম একে অপরের সাথে সম্পর্ক তৈরী করে দেয়। এছাড়া মুমিন সালেহীন সত্যবাদিরা পরস্পর পরস্পরের ভাই বেরাদর। পরস্পরের খোঁজ খবর আনা-নেয়ার মাধ্যমে এ সম্পর্ক অরো মজবুত হয়। কোনো কারণে যদি আত্মীয় স্বজনের মধ্যে বিবাদ দেখা দেয় কিংবা সম্পর্কের মধ্যে অবনতি ঘটে। তাহলে অপর মুমিন ভাইয়ের কর্তব্য হলো ইনসাফের সাথে ফায়সালা করে দেয়া। উভয় পরিবার কিংবা উভয়ের সম্পর্ক যেনো অটুট থাকে এর চেষ্টা করা।কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘মু’মিনরা তো (একে অপরের) ভাই বেরাদর, অতত্রব তোমাদের ভাইদের মাঝে মীমাংসা করে দাও, আল্লাহ পাককে ভয় কর আশা করা যায় তোমাদের উপর দয়া ও অনুগ্রহ করা হবে।’( সূরা হুজরাত:১০)। ‘হে আমার স¤প্রদায় ! আমার সঙ্গে বিরোধ যেন কিছুতেই তোমাদেরকে এমন অপরাধ না করায় যাহাতে তোমাদের উপর তাহার অনুরূপ বিপদ আপতিত হইবে যাহা আপতিত হইয়াছিল নূহের স¤প্রদায়ের উপর; আর হুদের সম্পদায়ের উপর, সালিহের সম্পদায়ের উপর, আর লূতের স¤প্রদায় তো তোমাদের হইতে দূরে নয়।’ (সূরা হুদ: ৮৯)।
আত্মীয় স্বজনকে সাধ্য মোতাবেক আদর আপ্যায়ন করতে হবে। কারণ মেহমানদারিতার মধ্যে আত্মীয় স্বজনের হক রয়েছে। কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘এরা শুধু আল্লাহর ভালোবাসায় মিসকীন, এতীম ও কয়েদীদের খাবার দেয়। (এরা বলে) আমরা শুধু আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টির জন্যেই তোমাদের খাবার দিচ্ছি, আমরা তোমাদের কাছ থেকে কোনো রকম প্রতিদান চাই না।’ (সূরা দাহর: ৮,৯)। হযরত আবু হোরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত হয়েছে, হযরত রাসূল (সা) এরশাদ করেছেন,‘যে ব্যক্তি আল্লাহ এবং পরকালের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন তার প্রতিবেশিকে কষ্ট না দেয়। যে ব্যক্তি আল্লাহ এবং পরকালে বিশ্বাস রাখে, সে যেন মেহমানকে সন্মান করে। আর যে ব্যক্তি আল্লাহ এবং শেষ দিবসে ঈমান রাখে, সে যেন ভালো কথা বলে, অথবা চুপ থাকে।’ ( বুখারী:৫৫৯৩)।
উত্তর দিচ্ছেন : ফিরোজ আহমাদ

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন