স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৮২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ৭দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি। ঘোষিত কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পন, আলোচনা সভা, শোভাযাত্রা, রচনা প্রতিযোগিতা, দুঃস্থদের মধ্যে শীত বস্ত্র বিতরণ, ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী। গতকাল (সোমবার) সকালে নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে এক যৌথসভায় এসব কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত হয়। সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীরোত্তমের ৮২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সাত দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। ১৮ জানুয়ারি থেকে এই কর্মসূচি শুরু হবে।” রিজভী জানান, ১৯ জানুয়ারি জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকীর দিন ভোরে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও সারা দেশে সব ইউনিট কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। পরে সকাল ১০টায় রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে শহীদ প্রেসিডেন্টের কবরে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে পুষ্পমাল্য অর্পন করা হবে। এর আগে কর্মসূচি শুরুর দিন ১৮ জানুয়ারি রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে দলের পক্ষ থেকে আলোচনা সভা হবে।
১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুডার বাগবাড়ি গ্রামে জন্ম নেওয়া জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন পোস্টার প্রকাশ করবে। জাতীয় দৈনিকে বিশেষ ক্রোড়পত্রও প্রকাশ করবে বিএনপি। মুক্তিযোদ্ধা দল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিক দল, মহিলা দল, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন, ছাত্র দলসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠন আলোচনা সভা, শ্রমিক শোভাযাত্রা, শীতবস্ত্র বিতরণ, রচনা প্রতিযোগিতা এবং আলোকচিত্র প্রদর্শনীসহ নানা কর্মসূচি পালন করবে। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির পাশাপাশি জেলা-উপজেলা পর্যায়েও জিয়ার জন্মবার্ষিকী পালনের জন্য সব ইউনিটকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান রিজভী। যৌথ সভায় মরহুম সাবেক এমপি জয়পুরহাটের মোজাহার আলী প্রধান, নাটোরের শিংড়া পৌর মেয়র শামীম আল রাজী, চট্টগ্রামে উত্তরর কাজী আবদুল্লাহ আল হাসান, ময়মনসিংহের ধুবাউডার গোলাম রাব্বানী, বাগেরহাটের মিয়া আব্বাস উদ্দিনের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা ফজলুল হক মিলন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শামা ওবায়েদ, শহিদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, নুরে আরা সাফা, এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম, রিয়াজুল ইসলাম রিজু, মীর সরফত আলী সপু, এ বি এম মোশাররফ হোসেন, আশরাফউদ্দিন বকুল, রাশেদা বেগম হীরা, আবদুস সালাম আজাদ, জন গোমেজ, তাইফুল ইসলাম টিপু, শরীফুল আলম, অনিন্দ্র ইসলাম অমিত, আবদুল আউয়াল খান, মনির হোসেন, বেলাল আহমেদ, ফরিদা মনি শহীদুল্লাহ, মাশেকুর রহমান, শাহিন শওকত, হারুনুর রশীদ এবং নাজিমউদ্দিন মাস্টার উপস্থিত ছিলেন। অঙ্গসংগঠনের মুন্সি বজলুল বাসিত আনজু, এ জি এম শামসুল হক, ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, সাদেক খান, নুরুল ইসলাম খান নাসিম, মোস্তাফিজুর রহমান, রফিকুল ইসলম মাহতাব, হাফেজ আবদুল মালেক, শাহ নেসারুল হক, সুলতানা আহমেদ, হেলাল খান, আবদুল কালাম আজাদ, মোশাররফ হোসেন চৌধুরী, শাহ আলম রেজা, আসাদুজ্জামান আসাদ, মেজবুব মাসুম শান্ত এবং আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন