মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ০৫ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

খেলাধুলা

তামিম দ্যুতিতে বাংলাদেশের জয়

স্পোর্টস রিপোর্টার, মিরপুর থেকে | প্রকাশের সময় : ১৫ জানুয়ারি, ২০১৮, ১:৪৭ পিএম | আপডেট : ৬:৪২ পিএম, ১৫ জানুয়ারি, ২০১৮

৮ বছর পর ঘরের মাঠে ত্রিদেশীয় সিরিজ। আলোটা স্বভাবতই ছিল বাংলাদেশের দিকে। শুরুটাও হয়েছে বেশ। আজ রোববার মিরপুরে শুরু হওয়া টুর্নান্টের প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। কুয়াশার কারণে টস জিতে ফিল্ডিং নেন স্বাগতিক অধিনায়ক মাশরাফি। তার সিদ্ধান্তকে বিফলে যেতে দেননি বাংলাদেশের বোলাররা। মাশরাফি-সাকিব-মুস্তাফিজ-রুবেলদের বোলিং তোপে মাত্র ১৭০ রানেই গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। জবাবে তামিম ইকবালের ধৈর্যশীল ব্যাটিংয়ে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ২৮.৩ ওভারেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় মাশরাফির দল।
মাত্র ১৭.২ ওভারেই ৬৮ মিনিটের ইনিংসে ১০৬ বলে ১০০ ছুঁয়েছে বাংলাদেশ। ওপেনার তামিম খেলেন ঝলমলে ৮৪ রানের অপরাজিত ইনিংস। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত থেকে ৯৩ বলের ইনিংসটি সাজান ৮টি চার ও একটি দর্শনীয় ছক্কায়। যতক্ষণ ছিলেন বন্ধুকে দারুণ সঙ্গ দেন সাকিব আল হাসান। তিনে নেমে সিকান্দার রাজার এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফেরার আগে ৪৬ বলে ৫ চারে খেলেন ৩৭ রানের মারমুখী ইনিংস। তামিমের ওপেন জুটি হয়ে তিন বছর পর খেলতে নামা বিজয় ফিরে যান ঝড়ো শুরুর পরই। তার ১৪ বলে ১৯ রানের ইনিংসটি ৪টি চারে সাজানো।
এর আগে শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে একশ রান তুলতেই ৫ উইকেট খুইয়ে বসে জিম্বাবুয়ে। তিনটি সহজ ক্যাচ না ছাড়লে আরো বিপর্যয় হতে পারতো সফরকারীদের। তবে যক্ষের ধনের মত একদিক আগলে রেখেছিলেন সিকান্দার রাজা। অবশেষে ভাঙা গেছে সেই দেয়াল। নাসিরের বলে স্কয়ার লেগে ঠেলে দিয়েই দ্রুত এক রা নেয়ার চেষ্টায় ছিলেন এই মিডল অর্ডার। তবে তার আগেই সেখান থেকে বল কুড়িয়ে মুশফিকের হাতে তুলে দেন সাকিব, মুশফিকও ভেঙে দেন উইকেট। ৫২ রানে সিকান্দার ফিরে যাবার সময় সফরকারীদের সংগ্রহ ছিল ৬ উইকেটে ১৩৫। সেখান থেকে দলীয় ইনিংসে আর মাত্র ৩৫ রান যোগ করতে পারেন বাকি ৪ ব্যাটসম্যান। এছাড়া জিম্বাবুয়ের পক্ষে মুর ৩৩, টেইলর ২৪, ক্রেমার ১২, ওয়ালার করেন ১৩ রান। তখনও বাকি ছিল এক ওভার। ৩ উইকেট নিয়েছেন সাকিব, দুটি করে শিকার রুবেল-মুস্তাফিজের এবং একটি করে একটি মাশরাফি-নাজামুলের।
২০১৫ বিশ্বকাপের পর আবারো বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডে খেলার সুযোগ পেয়েছেন এনামুল হক বিজয়। ওপেনার হিসেবেই খেলবেন তিনি। অপরদিকে, জিম্বাবুয়ের হয়ে ওয়ানডে অভিষেক ঘটেছে অলরাউন্ডার ব্রেন্ডন মাভুতার। রকেট ত্রিদেশীয় সিরিজের অপর দেশ শ্রীলঙ্কা।
ওয়ানডেতে এখন পর্যন্ত ৬৭ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে। এরমধ্যে ৩৯টি জিতেছে টাইগাররা। জিম্বাবুয়ের জয় ২৮টি ম্যাচে। ওয়ানডেতে সর্বশেষ ২০১৩ সালে বাংলাদেশকে হারিয়েছিলো জিম্বাবুয়ে। এরপর টানা আট ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। সর্বশেষ ২০১৫ সালে তিন ম্যাচের সিরিজে মুখোমুখি হয়েছিলো বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে। ঐ সিরিজটি ৩-০ ব্যবধানে জিতেছিলো বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ একাদশ : মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, এনামুল হক বিজয়, সাকিব আল হাসান, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), নাসির হোসেন, সাব্বির রহমান, রুবেল হোসেন, সানজামুল ইসলাম ও মুস্তাফিজুর রহমান।
জিম্বাবুয়ে একাদশ : গ্রায়েম ক্রেমার (অধিনায়ক), হ্যামিলটন মাসাকাদজা, সলোমন মির, পিটার মুর (উইকেটরক্ষক), ক্রেইগ আরভিন, সিকান্দার রাজা, টেন্ডাই চিসোরো, টেন্ডাই চাতারা, কাইল জার্ভিস, ক্রিস্টোফার মোফু ও ব্রেন্ডন মাভুতা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন