স্টাফ রিপোর্টার : আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনশত আসনই বিএনপি পাবে এমন নিশ্চয়তা পেলে তারা নির্বাচন কমিশন নিয়ে আর কোন কথা বলবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় আসলে দেশের পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে।
গতকাল শুক্রবার বিকালে রাজধানীর রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউট মিলনায়তনে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
স¤প্রতি উত্তর সিটি নির্বাচন স্থগিতের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করে কমিশনারের বক্তব্যে বিএনপি পঞ্চমূখ হয়েছে। এখন একটু স্বার্থে লাগলেই তারা কুন্ঠিত হন। আসলে বিএনপি যে কোন কিছু নিয়ে একটা মন্তব্য করবেই। যারে দেখতে নারি তার চলন বাঁকা। তিনি বলেন, জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনই বিএনপি পাবে এমন নিশ্চয়তা পেলে তারা নির্বাচন কমিশন নিয়ে আর কোন কথা বলবে না।
ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নেতা অধ্যাপক মুনতাসির মামুনের বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনে আসা যে কোন রাজনৈতিক দলের অধিকার। এটা কি সরকার সুযোগ বিতরণ করছে?
আগামী নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে দেশের পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ২১ বছর ক্ষমতার বাইরে থেকে আমাদের অর্জিত অনেক কিছু বর্জিত হয়ে গেছে। আগামী নির্বাচনে বিএনপি ক্ষমতায় আসলে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। বিভিষিকায় হারিয়ে যেতে হবে। আর মুক্তিযুদ্ধ পাকিস্তানের দিকে ধাবিত হবে।
অনুষ্ঠানে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নেতা অধ্যাপক মুনতাসির মামুন বলেন, বিএনপি কি বাংলাদেশকে বিশ্বাস করে? না করে না। আমরা শুধু জামায়াতকে বলি তারা পাকিস্তানের ধ্যান ধারণায় চলছে। আসলে বিএনপিও একই। পাকিস্তানের ভাবধারা নিয়ে বিএনপি চলছে তারপরও কেন বিএনপিকে নির্বাচনের জন্য ঢাকা হচ্ছে এমন প্রশ্ন মুনতাসির মামুনের। গতকাল শুক্রবার বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের জন্মবর্ষিকীর ক্রোড় পত্র বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুনতাসির মামুন। তিনি বলেন, আজকে ক্রোড়পত্রটা পড়েছেন? এই ক্রোড়পত্র কিভাবে ছাপা হয়। সরকারের তথ্যমন্ত্রনালয় কি করে? বিএনপি যদি বাংলাদেশকে বিশ্বাস করতো তবে তারা জামায়েতের সঙ্গে জোট করতো না।
২৬ বছরের অভিযাত্রা ও নির্বাচনের বছরে নির্মূল কমিটির আন্দোলন নামের ব্যানারে আয়োজিত প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সভাপতিত্ব করেন বিচারপতি সামসুল হুদা। বক্তব্য রাখেন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান, মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুর রশীদ, শাহীন রেজা নূর, ডা. নূজহাত চৌধুরী, শমী কায়সার।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন