সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

রূপগঞ্জে যুবলীগ কর্মীকে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা : আটক-১

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে জাকির হোসেন (৩০) নামে এক যুবলীগ কর্মীকে ডেকে নিয়ে দুর্বৃত্তরা হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার সকাল সোয়া ৭ টায় উপজেলার ভুলতা তাঁতবাজার এলাকায় ঘটে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক শাহিন মিয়া স্বীকার করেছেন। তিনি উপজেলার বলাইখা এলাকার চাঁন মিয়ার ছেলে। এছাড়া নিহত জাকির হোসেন উপজেলার ভুলতার ইউনিয়নের মর্তুজাবাদ এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে। বর্তমানে জাকির হোসেন স্ত্রী ফারজানা বেগম, ছেলে এখলাছ ও মেয়ে ইলমাকে নিয়ে শিংলাবো এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ভুলতা ফাড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর শহিদুল আলম জানান, জাকির হোসেন একজন যুবলীগ কর্মী এবং কাঁচামাল ব্যবসায়ী। গতকাল বুধবার সকাল সোয়া ৭টার দিকে এক দল মুখোশধারী দুর্বৃত্ত জাকির হোসেনকে ভুলতা তাঁতবাজারের হাজী বিরিয়ানীর দোকানের সামনে এলোপাথাড়ীভাবে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এসময় জাকির হোসেন নিজেকে বাঁচানোর জন্য ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে জাকির হোসেন জীবন বাঁচাতে দৌড়ে ফুটপাতের সামনে এসে মাটিতে লুটে পরে। এক পর্যায়ে জাকির হোসেনকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাৎক্ষনিক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। পরে সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সাব্বিতসহ স্থানীয় লোকজন হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জাকির হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত রয়েছে, এমন অভিযোগের ভিত্তিত্বে শাহিন নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকান্ডের ঘটনা স্বীকার করেছে আটক শাহিন। এ ঘটনার সঙ্গে আরো কয়েক জন জড়িত রয়েছে। এরা সবাই মাদকাসক্ত। এ ব্যপারে সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সাব্বিত জানান, জাকির হোসেনের গলায়, পিঠে, কাঁধ, হাতের কব্জিসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে নয়টি ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। প্রচন্ড রক্তক্ষরণ হওয়ায় দ্রæত তার মৃত্যু হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়না তদন্ত শেষে গ্রামের বাড়ি মর্তুজাবাদে পাঠানো হবে। এ বিষয়ে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি কামরুল হাসান তুহিন বলেন, জাকির হোসেন যুবলীগের একজন সক্রিয় সদস্য ছিলেন। যারা এ ধরনের হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের গ্রেফতার করে অবিলম্বে ফাঁসি দিতে হবে।
জাকির হোসেনের স্ত্রী যুব মহিলালীগ কর্মী ফারজানা বেগমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি। এ ব্যপারে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে আটক শাহিনের সম্পৃক্ততা রয়েছে। তাকে আরো জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। অল্প সময়ের মধ্যে হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে এবং গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে। হত্যাকারীদের কোন প্রকার ছাড় দেয়া হবেনা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন