বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামী বিশ্ব

ইরানে অবাধ নির্বাচন দাবি

আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির কাছে লেখা আহমেদিনেজাদের খোলা চিঠি

| প্রকাশের সময় : ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির কাছে লেখা এক খোলা চিঠিতে পার্লামেন্ট ও প্রেসিডেন্ট পদে ‘অবাধ নির্বাচন’ দাবি করেছেন দুই দফা দেশটির প্রেসিডেন্ট পদে দায়িত্ব পালন করা মাহমুদ আহমেদিনেজাদ। গত বুধবার নিজের ওয়েবসাইটে সাবেক এ প্রেসিডেন্ট চিঠিটি প্রকাশ করেছেন বলে খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের। প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে আহমেদিনেজাদ দ্বিতীয় দফা প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে তার বিরুদ্ধে ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে বিরোধীরা তুমুল বিক্ষোভ করেছিল। তখনকার সহিংসতায় ডজনের ওপর লোক নিহত ও আটক হয়েছিল শতাধিক। পরে নিরাপত্তা বাহিনী দেশটির প্রভাবশালী বিপ্লবী রক্ষীদলের নেতৃত্ব ক্ষমতা কাঠামোর ভিত কাঁপিয়ে দেয়া বিক্ষোভ-সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে আনে। নয় বছর আগের ওই ঝঞ্ঝামুখর সময়ে সর্বোচ্চ নেতা খামেনির সমর্থন পেয়েছিলেন আহমেদিনেজাদ। কিন্তু ২০১১ সালে গোয়েন্দা বিষয়ক মন্ত্রীকে বরখাস্তের ঘটনায় দুজনের সম্পর্কে ফাটল ধরে। আহমেদিনেজাদ মন্ত্রীকে বরখাস্ত করলেও ইসলামিক প্রজাতন্ত্রটির সকল নীতির ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেওয়ার ক্ষমতাধারী সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা খামেনি প্রেসিডেন্টের আদেশ উল্টে দেন। আহমেদিনেজাদ কর্তৃত্বের সীমা অতিক্রমের চেষ্টা করছে বলেও ওই সময় ইঙ্গিত করেছিলেন তিনি। ক্ষমতায় থাকার সময় বেপরোয়া ও কট্টরপন্থি হিসেবে পরিচিত আহমেদিনেজাদ ২০১৩ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি। দেশটির আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি পরপর দুইবারের বেশি প্রেসিডেন্ট হতে পারে না। তখনকার নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় আসা হাসান রুহানি গত বছরের নির্বাচনেও বিজয়ী হয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি সমাজ ও অর্থনীতিতে উদারনৈতিক সংস্কার এবং নির্বাচনে বিপ্লবী রক্ষীদলকে হস্তক্ষেপ না করতে আহŸান জানালেও সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার ক্ষমতা হ্রাসের ব্যাপারে কিছু বলেননি। আহমেদিনেজাদের চিঠিতে এ ব্যাপারে স্পষ্ট ইঙ্গিত আছে। “প্রেসিডেন্ট পদে ও পার্লামেন্টে দ্রæত ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠান এখন জরুরিভিত্তিতে প্রয়োজন, অবশ্যই সেটি হতে হবে গার্ডিয়ান কাউন্সিলের তৎপরতা এবং সামরিক বাহিনী ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানগুলোর হস্তক্ষেপমুক্ত। পছন্দের প্রার্থী নির্বাচনের অধিকার আছে জনগণের,” বলেছেন আহমেদিনেজাদ। প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্টে মনোনয়ন চাওয়া প্রার্থীদের বাছাই করে গার্ডিয়ান কাউন্সিল, যেখানে সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতার ইচ্ছার প্রতিফলনও থাকে। আহমেদিনেজাদের সমালোচকরাও ২০০৫ ও ২০০৯ এর নির্বাচনে গার্ডিয়ান কাউন্সিলের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা করেছিল। আহমেদিনেজাদকে জেতাতে কাউন্সিল নানা ধরনের তৎপরতা চালিয়েছিল বলেও অভিযোগ করেছিলেন তারা। সর্বশেষ নির্বাচনে এ গার্ডিয়ান কাউন্সিলই আহমেদিনেজাদের প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়নের সম্ভাবনা বাতিল করে দিয়েছিল। রয়টার্স।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
সাজেদ ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ৪:২৮ এএম says : 0
যেকোন গণতান্ত্রিক দেশে অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হওয়া দরকার।
Total Reply(0)
লোকমান ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮, ৪:২৮ এএম says : 0
আশা করি তিনি এই আহ্বানে সাড়া দিবেন।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন