শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ধর্ম দর্শন

আপনার জিজ্ঞাসার জবাব

| প্রকাশের সময় : ৮ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

প্রশ্ন : মহানবীর বানী বনাম বিজ্ঞান- কথাটি বুঝিয়ে বলুন।
উত্তর: হযরত মুহাম্মদ (স.) বলেছেন, ‘পুরুষের প্যান্ট বা কাপড় পায়ের গোড়ালি উপর পরতে হবে। অন্যথায় তারা নরকে যাবে। (সহিহ বোখারি, ৫৩৭১) । মুহাম্মদ (স.) বলেছেন, ‘ভ্রæ প্লাগকারীর ওপর আল্লাহর লানত’। - (সহিহ বোখারি, ৫৫১৫)। বিজ্ঞান বলে, ভ্রæ হলো চোখের সুরক্ষার জন্য। ভ্রæতে এমন কিছু লোম থাকে, যদি তা কাটা পড়ে যায় তা হলে ভ্রæ প্লাগকারী পাগল হতে পারে অথবা মৃত্যুবরণও করতে পারে। রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘নেশা জাতীয় দ্রব্য খাওয়া হারাম।’ ( সহিহ বোখারি, ৬১২৪ )। বিজ্ঞান বলে, ধুমপানের কারণে ফুসফুসের ক্যানসার, ব্রঙ্কাইটিস ও হৃদরোগ হয়ে মারা যায়। ধুমপান করলে ঠোট, দাঁতের মাড়ি, আঙুল কালো হয়ে যায়। ক্ষুধা কমে যায়, এমনকী স্মৃতিশক্তিও কমে য়ায়।
রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘পুরুষের জন্য স্বর্ণ ব্যবহার হারাম’। -( মুসলিম, ১৬৫৫)। বিজ্ঞান বলে, স্বর্ণ এমন একটি পদার্থ, যা ত্বকের সঙ্গে মিশে রক্তের মাধ্যামে ব্রেনে চলে যায়। আর তার পরিমাণ যদি ২.৩ হয়, তা হলে মানুষ তার আগের স্মৃতি সব হারিয়ে ফেলবে। রাসুলল্লাহ (স.) বলেছেন, ঘুমানোর সময় আলো নিভিয়ে এবং ডানে কাত হয়ে ঘুমাতে। - (সহিহ বোখারি, ৩২৮০)
বিজ্ঞান বলে, ডানে কাত হয়ে ঘুমালে হার্ট ভালোভাবে পাম্প করে। আর লাইট না নিভিয়ে ঘুমালে ব্রেনের অ্যানাটমি রস শরীরে প্রবেশ করতে পারে না, যার ফলে ক্যানসার হওয়ার সম্ভবনা থাকে। রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘ তোমরা গোঁফ ছেটে ফেল এবং দাড়ি রাখ।’ (সহিহ মুসলিম, ৪৯৩ ও ৪৯৪)। বিজ্ঞান বলে, দাড়ি না রাখলে ত্বকের ক্যানসার, ফুসফুসের ইনফেকশন এবং ৪০-র আগে যৌবন হারানোর সম্ভাবনা থাকে। আল্লাহ বলেন, ‘আর ব্যাভিচারের কাছেও যেও না। নিশ্চয় না। নিশ্চয় এটা অশ্লীল কাজ এবং ধ্বংসের পথ,Ñ(বনি ইসরাইল ৩২), নেশাগ্রস্ত শয়তানের কাজ (মাইদাহ ৯০)
বিজ্ঞান বলে, পর্নোগ্রাফি ও অশ্লীল সম্পর্ক সহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্যের নেশায় যদি কেউ জড়িয়ে পড়ে, তা হলে তার ব্রেনের ফরেন্টাল এরিয়া পরিচালনা করার ইন্টেলেকচুয়াল সেলগুলো থরথর করে কাঁপতে থাকে এবং অস্থির হয়ে যায় যার ফলে সে নেশাগ্রস্ত হয়ে মাতাল ও অসুস্থের মতো জীবন পরিচালনা করে। এবং তা তাকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়। আল্লাহ বলেন, ‘আর যখন কোরান পাঠ করা হয়, তখন তাতে মনোযোগ রাখ এবং নিশ্চুপ থাক, যাতে তোমাদের উপর রহমত হয়। (আরাফ, ২০৪)
বিজ্ঞান বলে, কোরানের সাউন্ড ওয়েব শরীরের সেলগুলোকে সক্রিয় করে, অসুস্থতা আরোগ্য করে বিশেষ করে হার্ট এবং ক্যানসার রোগীরদের আর ব্রেনকে এমন ভাবে চার্য করে, ঠিক যেমনভাবে ফিউজ হওয়া ব্যাটারিকে সচল করা হয়।
উত্তর দিচ্ছেন: মো: আফতাব চৌধুরী

 

 

 


এসো আল্লাহর পথে আহŸান করি
মাহফুজ আল মাদানী
আরবি দা’আ শব্দের অর্থ হলো আহŸান করা, ডাকা, আমন্ত্রণ জানানো, কোন কিছু চাওয়া ইত্যাদি। পরিভাষায়, আল্লাহর দিকে অর্থাৎ আল্লাহর দেয়া জীবন বিধানের দিকে আহŸান করা। অথবা, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যা নিয়ে এসেছেন, যা সংবাদ দিয়েছেন তা সত্যসহকারে মানা এবং যা আদেশ করেছেন তা অনুসরণের জন্য কাউকে ডাকা বা ঈমান আনার জন্য আহŸান করা।
আহলে ইলম তথা ইসলামি স্কলারস্ গণ ঐক্যমত যে, আল্লাহর পথে মানুষদেরকে আহŸান করা ওয়াজিব তথা আবশ্যক। এটা কি সকলের জন্য আবশ্যক নাকি কেউ কেউ আদায় করলে হয়ে যাবে? সে বিষয়ে মতানৈক্য করেছেন। তবে প্রসিদ্ধ মত হচ্ছে, এটা সকলের প্রতি ওয়াজিব বা আবশ্যক নয়। কেউ কেউ আদায় করলে আদায় হয়ে যাবে। তাই, আমাদের উচিৎ আমাদের মধ্য হতে কিছু লোক সদা সর্বদা আল্লাহর দিকে মানুষদেরকে আহŸান করতে থাকবে। আল্লাহর বাণী, ‘আর তোমাদের মধ্যে এমন একটা দল থাকা উচিত যারা আহŸান জানাবে সৎকর্মের প্রতি, নির্দেশ দিবে ভাল কাজের এবং বারণ করবে অন্যায় কাজ থেকে, আর তারাই হলো সফলকাম’ -(সুরা আলে ইমরান : ১০৪)।
অন্ধকার হতে আলোর দিকে, অজ্ঞতা হতে জ্ঞানের দিকে, মন্দ থেকে ভালো পথের দিকে মানুষদেরকে আহŸান করা অতীব জরুরি। পাশাপাশি খারাপ বা মন্দ কাজ সমূহ দেখলে তা প্রতিহত করা ঈমানের দাবি। হাদীস শরীফের ভাষায়, ‘হজরত আবু সাইদ খুদরী (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন, তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি কোন মন্দ কাজ দেখবে, সে ইহা নিজ হাত দ্বারা প্রতিহত করবে। যদি সে সক্ষম না হয়, তবে তার জিহŸা দ্বারা প্রতিহত করবে। যদি সে সক্ষম না হয়, তবে অন্তর দ্বারা প্রতিহত করার চিন্তা ও পরিকল্পনা করবে। আর এটাই ঈমানের দুর্বল স্তর’- (মুসলীম, মিশকাতুল মাসাবীহ)। এতে বোধগম্য যে, মানুষদেরকে আল্লাহর পথে আহŸান করা নৈতিক দায়িত্ব।
এ সকল আহŸানকারীগণের থাকা প্রয়োজন বিশেষ গুণাবলী। নচেৎ তাদের আহŸানে মানুষ সাড়া না দিয়ে চলে যাবে দূরে, বহুদূরে। আল্লাহর ঘোষণা, ‘আল্লাহর রহমতেই আপনি তাদের জন্য কোমল হৃদয় হয়েছেন, পক্ষান্তরে আপনি যদি রাগ ও কঠিন হৃদয় থাকতেন তাহলে তারা আপনার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতো। কাজেই আপনি তাদের ক্ষমা করে দিন এবং তাদের জন্য মাগফেরাত কামনা করুন’ -(সুরা আলে ইমরান : ১৫৯)।
আল্লাহর পথে আহŸানকারীকে কিছু বিশেষ গুণে গুণান্বিত হতে হবে। তাঁর মধ্যে থাকতে হবে আদর্শ, চারিত্রিক বৈশিষ্ঠ্যাবলী। আল্লাহর পথের আহবানকারীর যে সকল গুণ থাকা বাঞ্চনীয় তন্মধ্যে, আহবানকারী আলেম তথা জ্ঞানী হওয়া। যে আল্লাহর পথে আহŸান করবে সে আহলে ইলিম হওয়া। অর্থাৎ আহŸানকারী ইসলাম সম্পর্কে পুরো জ্ঞান থাকা। অজ্ঞ বা মুর্খ আল্লাহর পথের দা’য়ী হতে পারে না। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ঘোষণা করেন, ‘বলে দিন: এই আমার পথ। আমি আল্লাহর দিকে বুঝে সুঝে দাওয়াত দেই আমি এবং আমার অনুসারীরা। আল্লাহ পবিত্র। আমি মুশরিকদের অন্তর্ভূক্ত নই’ -(সুরা ইউসুফ : ১০৮)। এখানে আল্লাহ তা’য়ালা দাওয়াতের ক্ষেত্রে ইলিম বা জ্ঞানের কথা স্পষ্টভাবে আলোকপাত করেছেন।
প্রত্যেক কাজ নিয়্যতের উপর নির্ভরশীল। আল্লাহর পথে আহবান করার ক্ষেত্রে দা’য়ীকে নিয়ত বিশুদ্ধ হওয়া জরুরি। শুধুমাত্র আল্লাহর উদ্দেশ্যে তাদের কাজগুলোকে পরিচালিত করতে হবে। লোক দেখানো, দুনিয়াতে কোন সম্মান বা উচ্চাসন পাওয়ার আশায় এ পথের আহŸানকারী হওয়া যাবেনা। আল্লাহর বাণী, ‘অতএব, তোমরা খাঁটি বিশ্বাস সহকারে ডাক, যদিও কাফেররা তা অপছন্দ করে’ -(সুরা গাফির : ১৪)। নবীগণও মানুষদেরকে আল্লাহর পথে আহŸান করার ক্ষেত্রে আল্লাহর সন্তুষ্টি ছাড়া কিছু চান নি। আল্লাহ তা’য়ালা বলেন, ‘হে আমার জাতি! আমি এজন্য তোমাদের কাছে কোন মজুরী চাই না; আমার মজুরী তাঁরই কাছে যিনি আমাকে পয়দা করেছেন’ তবু তোমরা কেন বোঝ না? -(সুরা হুদ : ৫১)।
দাওয়াতের ক্ষেত্রে কম গুরুত্বের চেয়ে অধিক গরুত্বপূর্ণ বিষয় দিয়ে আরম্ভ করা। যেমন প্রথমে তাওহীদের দিকে, শিরক বা কুফুরী হতে বিরত থাকার জন্য আহŸান করা। পরবর্তীতে নামাজ, রোজা, হজ, যাকাত ইত্যাদির দিকে ধীরে ধীরে আহŸান করা। অধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে ছেড়ে কম গুরুত্বের বিষয়কে প্রাধান্য না দেয়া। যা ছিল নবী-রাসুল এবং সাহাবী-তাবেয়ীগণের পদ্ধতি। কাজেই সে সব পদ্ধতিসমূহকে আমাদের অনুসরণ করা সর্বোত্তম।
দা’য়ীগণ ধৈর্য্যশীল হওয়া। প্রবাদে রয়েছে “ধৈর্য্যই সাফল্যের চাবিকাঠি”। আল্লাহর পথে আহŸানকারীগণ ধৈর্য্যসহকারে কাজ করে যেতে হবে। আল্লাহ বলেন, ‘আর তোমরা ধৈর্য্যধারণ কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ তা’য়ালা ধৈর্য্যশীলদের সাথে রয়েছেন’ -(সুরা আল আনফাল : ৪৬)। নবী-রাসুলগণ আল্লাহর পথে আহŸান করার ক্ষেত্রে ধৈর্য্যরে পরম শিক্ষা প্রদান করে গেছেন। আল্লাহ তাঁদের সম্পর্কে বলেন, ‘আপনার পূর্ববর্তী অনেক পয়গাম্বরকে মিথ্যা বলা হয়েছে। তাঁরা এতে সবর করেছেন। তাঁদের কাছে আামার সাহায্য পৌঁছা পর্যন্ত তাঁরা নির্যাতিত হয়েছেন’ -(সুরা আল আন’আম : ৩৪)।
দাওয়াত তথা আল্লাহর পথে মানুষকে ডাকা এটা নবী-রাসুলগণের ভিশন ও মিশন। আর যে ব্যক্তি মানুষকে ঐ পথে ডাকছে সে তো সাধারণ কেউ হতে পারে না। কারণ, সে নবী-রাসুলগণের মিশন পালনে সময় অতিবাহিত করছে। সে নবী-রাসুলদের পেশার অনুসরণ করছে। আল্লাহ এ সম্পর্কে বলেন, ‘আমি প্রত্যেক উম্মতের মধ্যেই রাসুল প্রেরণ করেছি এই মর্মে যে, তোমরা আল্লাহর ইবাদত কর এবং তাগুত থেকে নিরাপদ থাক’ -(সুরা আন নহল : ৩৬)।
আল্লাহর পথে আহŸান বা দাওয়াত শেষ নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মহান দায়িত্ব ছিল। আর ঐ পথে মানুষদেরকে আহŸান করা মানে বিশ্বনবীর মহান দায়িত্বের পথে কাজ করা। যা অবশ্যই সম্মান ও মর্যাদার। আল্লাহর বাণী, ‘আমি আপনাকে সমগ্র মানবজাতির জন্যে সুসংবাদ ও সতর্ককারী রূপে পাঠিয়েছি’ -(সুরা সাবা:২৮)। অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘পরম কল্যাণময় তিনি যিনি, তাঁর বান্দার প্রতি ফয়সালার গ্রন্থ অবতীর্ণ করেছেন, যাতে তিনি বিশ্বজগতের জন্যে সতর্ককারী হন’ -(সুরা আল ফুরক্বান:০১)।
যারা আল্লাহর পথে মানুষদেরকে আহŸান করে মহাধীপতি আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাদের প্রশংসা করেছেন। তারাই তো সৌভাগ্যবান, যাদের প্রশংসা করেন স্বয়ং সৃষ্টিকর্তা। যিনি আসমান ও জমিনের অধিপতি। আল্লাহ তা’আলা বলেন, ‘যে আল্লাহর দিকে দাওয়াত দেয়, সৎকর্ম করে এবং বলে, আমি একজন মুসলমান, তার কথা অপেক্ষা উত্তম কথা আর কার?‘ -(সুরা ফুস্সিলাত : ৩৩)।
আল্লাহর পথে আহŸান করা এক প্রকারের জিহাদ। তাই যারা আল্লাহর পথে, কোরআনের পথে, রাসুলের পথে আহŸান করে প্রকারান্তরে তারা যেন দ্বীন ইসলামের জন্য আল্লাহর পথে জিহাদ করছে। আল্লাহর দ্বীন কায়েমে তারা লড়ছে। তাই, তাদের অবস্থান অবশ্যই উপরে, অনেক উপরে। আল্লাহর বাণী, ‘অতএব আপনি কাফেরদের আনুগত্য করবেন না এবং তাদের সাথে এর সাহায্যে কঠোর সংগ্রাম করুন’ -(সুরা আল ফুরক্বান : ৫২)।
দাওয়াত তথা আল্লাহর দিকে মানুষকে ডাকা তা যেন ইসলাম ও মুসলমানদেরকে সহযোগিতা করা। কেননা, অন্ধকার হতে আলোর দিকে, ভ্রষ্টতা হতে হেদায়াতের দিকে, জাহান্নাম হতে জান্নাতের দিকে, মন্দ কাজ থেকে ভালো কাজের দিকে সর্বোপরি মহান আল্লাহ তায়ালার দিকে আহŸান করে ব্যক্তি, সমাজ দেশ ও জাতিকে সত্যের সন্ধান দেয়া। যা অবশ্যই মহৎ ও প্রশংশনীয় কাজ। আল্লাহর ঘোষণা, ‘হে ঈমানদারগণ! যদি তোমরা আল্লাহকে সাহায্য কর, আল্লাহ তোমাদেরকে সাহায্য করবেন এবং তোমাদের পা দৃঢ়প্রতিষ্ঠ করবেন’ -(সুরা মুহাম্মদ : ০৭)। ইমাম শাওকানী (রহ.) এই আয়াতের তাফসীরে বলেন, এখানে আল্লাহকে সাহায্য করার অর্থ হলো আল্লাহর দ্বীনকে সাহায্য করা।
যারা আল্লাহর পথে মানুষদেরকে আহŸান করেন তাদের জন্য মহান আল্লাহ তা’আলার দরবারে রয়েছে অসীম পুরষ্কার ও সম্মাননা। তাদেরকে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন কিয়ামতের দিন পুরষ্কার প্রদান করবেন। সর্বোপরি আল্লাহ তায়ালার পথে আহŸানকারীদের সম্মান ও মর্যাদা ইহকাল ও পরকাল উভয়কালেই বিদ্যমান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন