যুক্তরাষ্ট্রের এক সিনিয়র কূটনীতিক বলেছেন যে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে আফগান তালেবানদের আচরণ ঠিক করার ক্ষেত্রে পাকিস্তান অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। ওয়াশিংটনের ইউএস ইন্সটিটিউট অব পিসে শুক্রবার আফগানিস্তান ও কাবুল শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে এক অধিবেশনে এ মন্তব্য করেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্টেন্ট পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যালিস ওয়েলস। আফগান তালেবান যাতে আশরাফ ঘানি সরকারের সাথে আলোচনায় বসে সেজন্য পাকিস্তানী গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, পাকিস্তানেরও এখানে স্বার্থ রয়েছে এবং আফগানিস্তানে শান্তি প্রক্রিয়ার সময় যাতে সেটাও পূর্ণ হয়, সে বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সাথে নিয়েছি। তাই পাকিস্তানের সাথে সামরিক বা বেসামরিক যে উপায়েই আমাদের যোগাযোগ হোক না কেন, এই মূল স্বার্থের দিকগুলো আমাদের বিবেচনা করতে হবে। ওয়েলস বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন আগের প্রশাসনগুলোর তুলনায় ইসলামাবাদের সাথে সম্পর্ককে ভিন্ন জায়গায় নিয়ে গেছে। “পাকিস্তানের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে আমরা এ বিষয়টিকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিছি।” তিনি আরও বলেন, আপনার দেখেছেন জেনারেল ভোটেল তার পর্যায়ে (জেনারেল কমর জাভেদ বাজওয়ার সাথে) আলোচনা করেছেন। ওয়াশিংটন ইসলামাবাদের দিক থেকে এখনও টেকসই এবং সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ দেখেনি- এমনটা উল্লেখ করে তিনি বলেন, গত কয়েক মাসে ইতিবাচক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। তালেবানরা পাকিস্তান থেকে হামলা চালাবে পরিকল্পনা নিয়েছে- এমন সংবাদ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে ওয়েলস বলেন, যুক্তরাষ্ট্র চাইবে যেন এমন পদক্ষেপ নেয়া হয় যাতে আফগান তালেবানদের জন্য এ ধরণের পরিকল্পনা নেয়াটা কঠিন হয়ে পড়ে। বিনিয়োগ ও উন্নয়ন প্রকল্পে সহযোগিতার মাধ্যমে আফগানিস্তানে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার জন্য নয়াদিল্লী চেষ্টা করছে উল্লেখ করে এই সিনিয়ন মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, এর অর্থ এই নয় যে, আফগান পরিস্থিতিকে ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কাজে লাগানোর চেষ্টা করলে যুক্তরাষ্ট্র সেটা সমর্থন করবে। ওয়েলস বলেন, “পাকিস্তানের আঞ্চলিক অখন্ডতাকে আমরা শক্তভাবে সমর্থন করি। সূত্র : সাউথ এশিয়ান মনিটর।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন