স্টাফ রিপোর্টার : অভিনেত্রী মোমেনা চৌধুরীর অভিনয়ে যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৮৭ সালে ‘বগুড়া থিয়েটার’-এ যোগদানের মধ্য দিয়ে। দলের একটি নাটকের রিহার্সেল চলাকালীন সে বছরই তার চাকরী হয়ে যায় গাজীপুরের ‘টাঁকশাল’-এ। চাকরিকালীন সেখানে তিনি ‘অবশিষ্ট মঞ্চায়ন পরিষদ’র সাথে যুক্ত হন। সেই দলের হয়ে ‘প্রত্যাশিত প্রলাপ’ নাটকের তিনটি প্রদর্শনীতে অভিনয় করে বেশ প্রশংসিত হয়েছিলেন। এর পরপরই তিনি ‘আরণ্যক’ নাট্যদলের সাথে যুক্ত হন ১৯৯০ সালে। ‘ইবলিশ’ নাটকে অভিনয়ের মধ্যদিয়ে শুরু হয় মোমেনার আরন্যক যাত্রা। এরপর থেকে আজ অবধি এই দলেরই হয়ে আছেন। ‘আরণ্যক’র হয়ে মোমেনা অভিনয় করেছেন ‘সংক্রান্তি’, ‘ময়ূর সিংহাসন’, ‘এবং বিদ্যাসাগর’, ‘প্রাকৃত জনকথা’ ইত্যাদি নাটকে। তবে তার অভিনয় জীবনের সেরা অর্জনের একটি ‘লালজমিন’। গতকাল জাতীয় নাট্যশালার পরীক্ষণ থিয়েটার হলে ‘লাল জমিন’ নাটক-এর ১০০তম প্রদর্শনী হয়ে গেল। মান্নান হীরা রচিত নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন সুদীপ চক্রবর্তী। এতে একক অভিনয় করেছেন মোমেনা চৌধুরী। ২০১১ সালের ১৮ মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটমÐলে ‘লাল জমিন’ নাটকের উদ্বোধনী মঞ্চায়ন হয়। এরপর দেশের প্রায় ৩৭টি জেলা শহরসহ প্রত্যন্ত অঞ্চল এবং পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা, লন্ডন ও নিউইয়র্কে আমন্ত্রিত হয়ে নাটকটির প্রদর্শনী হয়েছে।’ মোমেনা চৌধুরী বলেন, ‘এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। আল্লাহর কাছে আমার হাজার শুকরিয়া যে, তিনি আমাকে এতগুলো শো করার তৌফিক দিয়েছেন। আমার ৩০ বছরের থিয়েটার জীবনে একটি নাটকে একক অভিনয় নিয়ে এতদূর আসার পেছনে সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ। আমি দারুণভাবে আনন্দিত ও আবেগাপ্লুত।’ মোমেনা চৌধুরীর সাফল্যে মামুনুর রশীদ বলেন, ‘একটি একক নাটকের একশো’তম শো করা সত্যিই আনন্দের ব্যাপার। মোমেনা অনেক কষ্ট করে আজকের এই অবস্থানে এসেছে। তার সাফল্যে আমিও আনন্দিত। তার জন্য আমার শুভ কামনা রইলো। উল্লেখ্য, মোমেনা চৌধুরী প্রথম টিভিতে অভিনয় করেন আলী ইমামের প্রযোজনায় ‘বুকে যখন বঙ্গোপসাগর’। তার অভিনীত প্রথম ধারাবাহিক নাটক মামুনুর রশীদ রচিত ও আলাউদ্দিন আহমেদ প্রযোজিত ‘ইতিকথা’।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন