শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহানগর

রাজধানীতে জোড়া খুনের মামলায় ২ জনের ফাঁসি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২২ মার্চ, ২০১৮, ৩:২৫ পিএম

প্রেম ঘটিত কারণে গুলশানের হুন্দাই লিড কোম্পানির টেকনিশিয়ান জাকিউর রহমান জুয়েল ও তার বন্ধু সবুজকে হত্যার দায়ে দুইজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ মামলায় আরো দুইজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

বৃহস্পতিবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক আবদুর রহমান সরদার এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন-কাওসার মোল্লা ও ফরহাদ গাজী। তারা দুজনেই পলাতক।

যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-সুরুজ মিয়া ও সুপর্ণা। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি এদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে তাদের আরো এক বছর কারাভোগ করতে হবে। ফরহাদ ও সুপর্ণা চাচাতো ভাই-বোন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা, জাকিউর রহমান জুয়েল তার আত্মীয় মরিয়ম বেগমের উত্তরখানের বাসায় ভাড়া থাকতেন। তিনি আট বছর ধরে হুন্দাই লিড কোম্পানিতে টেকনিশিয়ান পদে চাকরি করতেন। জুয়েলের সঙ্গে তার বন্ধু সবুজ একত্রে চলাফেরা করতো। সবুজের সঙ্গে সুপর্ণার প্রেমের সম্পর্ক ছিল।

২০১০ সালের ২০ আগস্ট জুয়েল তার এক আত্মীয়ের বাসায় অবস্থান করছিলেন। ওই সময় ফরহাদের বোন সুপর্ণার মোবাইল থেকে সবুজের মোবাইলে ফোন করে সবুজ ও জুয়েলকে ডেকে নেওয়া হয়। এরপর তারা আর ফিরে আসেননি। চারদিন পর খোঁজাখুজি করে কোনো সন্ধান না পেয়ে জুয়েলের মোবাইলে ফোনে কল করলে তালুট গ্রামের সুরুজ নামে এক ব্যক্তি ফোন ধরে একেক সময় একেক ধরনের কথা বলেন।

ওই ঘটনায় জুয়েলের চাচা মোতালেব হোসেন ২০১০ সালের ৯ সেপ্টেম্বর চারজনকে আসামি করে উত্তরখান থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

ডিবি পুলিশের এসআই হাফিজুর রহমান মামলাটি তদন্ত করে ২০১১ সালের ৩ জুন কাওসার মোল্লা, সুরুজ মিয়া, ফরহাদ গাজী ওরফে ফরহাদ এবং সুপর্ণার বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

তুহিন মাতুব্বর নামে এক আসামি কিশোর হওয়ায় তার বিরুদ্ধে ভিন্ন চার্জশিট দাখিল করা হয়। ২০১২ সালের ১৮ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন আদালত। মামলার বিচারকাজ চলাকালে ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।

এদিকে এ মামলায় সুরুজ মিয়া ও তুহিন মাতুব্বর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

জবানবন্দিতে তারা বলে, ঘটনার পূর্বে নিহত ওই দুই ব্যক্তিকে সুপর্ণার মাধ্যমে ডেকে নিয়ে জুসের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানো হয়। এরপর কাওসার ও ফরহাদ প্রথমে জুয়েলকে গলা কেটে হত্যা করে। এরপর সুরুজ মিয়া ও তুহিন মাতুব্বর দুজনের মিলে সবুজের গলা কেটে হত্যা করে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন