সাতক্ষীরায় স্বাধীনতা দিবসের আলোচনা সভায় যুবলীগের হামলায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুনছুর আহম্মেদ, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমানসহ কমপক্ষে ১০জন আহত হয়েছে। এ ঘটনার পরপরই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সাতক্ষীরা সদর থানা ঘেরাও করে হামলাকারী যুবলীগ নেতা-কর্মীদের গ্রেফতারের দাবি জানান।
সোমবার (২৬ মার্চ) বিকাল ৫টায় সাতক্ষীরা শহরের শহীদ আলাউদ্দিন চত্বরে স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচিতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মুনছুর আহমেদ, জেলা যুবলীগের সদস্য মীর মহিতুল আলম, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদিকুর রহমান, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কাজী আক্তার হোসেন, জেলা তাতি লীগের সভাপতি মীর শাহিন, যুবলীগ নেতা বাবু ও ছাত্রলীগ নেতা তৌকিরসহ আরও কয়েকজন।
পৌর যুবলীগের আহবায়ক আব্দুল কাদের জানান, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিকালে সাতক্ষীরা নিউ মার্কেট সংলগ্ন আলাউদ্দিন চত্বরে পৌর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা চলছিল। এ সময় জেলা যুবলীগের আহবায়ক আব্দুল মান্নানের নেতৃত্বে একটি মিছিল সেখানে উপস্থিত হয়। সভাস্থলে পৌঁছে মান্নান স্টেজে উঠে মাইক কেড়ে নিয়ে বলে আজ থেকে খেলা শুরু। আমার বিরুদ্ধে যারা মিছিল মিটিং করছে, তাদেরকে এখন খেলা দেখাবো। এতে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও তাতী লীগের সভাপতি প্রতিবাদ করলে মান্নানের নেতৃত্বে মঞ্চে থাকা অতিথিদের উপর হামলা চালানো হয়। হামলায় জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দসহ অন্তত ১০জন আহত হয়।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল ইসলাম রেজা জানান, ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ মিছিল নিয়ে নিউ মার্কেট এলাকার কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার প্রাক্কালে বসুন্ধরা মার্কেটের সামনে মান্নান, তুহিন ও মনোয়ার হোসেন অনুর নেতৃত্বে লোহার রড, হকিস্টিক, রাম নিয়ে তাদের উপর হামলা চালানো হয়। এতে তাদের কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছে। জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদিকুর রহমান ও তৌকিরের অবস্থা আশংকাজনক।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ আহমেদ জানান, আওয়ামী লীগের কর্মসূচির ব্যাপারে আমাদের আগে থেকে কিছুই জানানো হয়নি। ঘটনা শুনে পুলিশ দ্রুত সেখানে পৌছায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এখন সবকিছু স্বাভাবিক।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন