শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামী বিশ্ব

বিশ্বমানের রাডার সিস্টেম দিয়ে পাকিস্তানের জেএফ-১৭ জঙ্গিবিমান আপগ্রেড করবে চীন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩০ মার্চ, ২০১৮, ১২:০০ এএম

 পাকিস্তান বিমান বাহিনীর জেএফ-১৭ জঙ্গি বিমানগুলোতে বিশ্বমানের রাডার সিস্টেম দিয়ে আপগ্রেড করে দেবে চীন। বিমানগুলোর লড়াই করার সক্ষমতা এতে অনেকগুণ বেড়ে যাবে। চীনের শীর্ষ এক রাডার গবেষক এ তথ্য জানিয়েছেন।
চীনের জিয়াংসু প্রদেশের নানজিং রিসার্চ ইন্সটিটিউট অব ইলেক্ট্রনিক্স টেকনোলজির প্রধান হু মিংচুন বলেন, জঙ্গিবিমানগুলোতে কেএলজে-৭এ অ্যাকটিভ ফেসড অ্যারে রাডার বসানো হবে। আকাশপথে যুদ্ধের সময় জেএফ-১৭ জঙ্গিবিমানগুলো এতে বহু সুবিধা পাবে।
তিনি বলেন, “আমাদের রাডার জঙ্গিবিমানগুলোর ডিটেকশান রেঞ্জ অনেকগুণ বাড়িয়ে দেবে। অনেক দূরের জিনিস দেখতে পাবে বিমানগুলো এবং এতে প্রতিপক্ষের বিমানগুলো তাদের দেখতে পাওয়ার আগেই তারা শত্রু বিমানগুলোর অবস্থান দেখতে পাবে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ বাস্তব যুদ্ধের ক্ষেত্রে আগে দেখতে পাওয়া মানে আপনি আগে গুলি ছুড়তে পারবেন। রাডারগুলো কয়েক ডজন টার্গেট ট্র্যাক করতে সক্ষম, একই সাথে একাধিক টার্গেটের বিরুদ্ধে সক্রিয় থাকতে পারে। তাছাড়া এর ভাল জ্যামিং-প্রতিরোধক ব্যবস্থাও রয়েছে, যেটা বিমানকে শত্রুর ইলেক্ট্রনিক হস্তক্ষেপ থেকে রক্ষা করবে।”
হু জানান, কেএলজে-৭এ রাডারগুলো হালকা ও মাঝারি ওজনের জঙ্গিবিমানে স্থাপন করা যায়। এই ধরনের রাডারগুলোর মধ্যে প্রযুক্তি ও সক্ষমতার দিক থেকে এটা খুবই অত্যাধুনিক। নানজিং রিসার্চ ইন্সটিটিউট অব ইলেক্ট্রনিক্স টেকনোলজি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠান চায়না ইলেক্ট্রনিক্স টেকনোলজি গ্রæপ কর্পোরেশানের একটি অংশ। দেশের সবচেয়ে উন্নত সামরিক রাডার তৈরি করে এই প্রতিষ্ঠান। আফ্রিকা ও এশিয়ার ২০টিরও বেশি দেশে এই কোম্পানির পণ্য বিক্রি করা হয়। জেএফ-১৭ জঙ্গিবিমানগুলো চীনে এফসি-১ নামে পরিচিত। এগুলো হালকা ওজনের বহুমুখী জঙ্গি বিমান। চীনের এভিয়েশান ইন্ডাস্ট্রি কর্পোরেশান এবং পাকিস্তান অ্যারোনটিক্যাল কমপ্লেক্স যৌথভাবে এটা তৈরি করেছে। পাকিস্তান বিমান বাহিনী প্রায়ই এই বিমান ব্যাবহার করে থাকে। মিয়ানমারের বিমান বাহিনীও এই বিমান কিছু কিনেছে বলে জানা গেছে। চীন ও পাকিস্তান অবশ্য নতুন ক্রেতার সন্ধান করার ব্যাপারে সব চেষ্টাই চালিয়ে যাছে। বেইজিংয়ের এভিয়েশান ইন্ডাস্ট্রি বিশ্লেষক উ পেইক্সিন বলেন, এই কাটিং-এজ রাডার দিয়ে বিমানগুলোর আধুনিকায়নের ফলে নিশ্চিতভাবেই উন্নয়নশীল দেশগুলোর কাছে এই বিমানের চাহিদা বাড়বে। তিনি বলেন, “কেএলজে-৭এ জেএফ-১৭ বিমান এবং এর অন্যান্য মডেলগুলোর যুদ্ধের সক্ষমতা খুব গ্রহণযোগ্য খরচের বিনিময়ে বাড়িয়ে দেবে। ফলে দামি দামি পশ্চিমা ও রাশিয়ান জেট বিমানগুলোর বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতায় নামতে পারবে এগুলো।” হু মনে করেন চীনের অস্ত্র প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি ও পণ্য রফতানির জন্য আরও সুবিধা দেয়া উচিত ও তাদের উৎসাহিত করা উচিত। এতে করে তারা ক্রেতাদের কাছে তাদের পণ্য উপস্থাপনের সুযোগ পাবে এবং তাদের তৈরি পণ্যের আরও উন্নয়নের সুযোগ পাবে।
গবেষণা ইন্সটিটিউট থেকে নতুন প্রজন্মের ধারাবাহিক কতগুলো রাডার তৈরি করা হয়েছে যেগুলো ইউএস এফ-২২ র‌্যাপটর বিমানগুলোর মতো স্টেলথ জঙ্গিবিমানগুলোকেও সনাক্ত করতে সক্ষম। এই নতুন রাডারগুলোর মধ্যে রয়েছে ওয়াইএলসি-৮বি, এসএলসি-৭ এবং এসএলসি-১২। সূত্র : সাউথ এশিয়ান মনিটর।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (3)
সাব্বির ৩০ মার্চ, ২০১৮, ১১:৫৫ এএম says : 0
এটা ভারতের একটা ভয়ের কারণ হবে।
Total Reply(0)
জুবায়ের ৩০ মার্চ, ২০১৮, ২:৪৫ পিএম says : 0
বন্ধু দেশ এরকমই হয়
Total Reply(0)
২ এপ্রিল, ২০১৮, ১:১৭ পিএম says : 0
বাংলাদেশ যদি এসব বিমান কিনতো
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন