বগুড়া আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক (এডি) সাজাহান কবিরের উপর হামলার ঘটনায় প্রধান আসামী বগুড়া পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা মোস্তাকিম রহমানসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওই ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রাতে বগুড়া পাসপোর্ট অফিসের অফিস সহকারী শাজেনুর আলম বাদী হয়ে শাজাহানপুর থানায় ১১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছেন। বৃহস্পতিবার রাতে জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে চারজন এবং দিনাজপুরে হাকিমপুর উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া সাতকুড়ি বাজার থেকে গতকাল শুক্রবার সকালে মোস্তাকিমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিকেলে বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূইয়া সাংবাদিক সম্মেলনে আসামীদের গ্রেফতারের বিষয়টি অবহিত করেন। সাংবাদিক সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, কাউন্সিলর মোস্তাকিম দিনাজপুর হয়ে ভারতে পালানোর চেষ্টা করছিল। এমন সংবাদ পেয়ে দিনাজপুরের পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়। তাদের নজরদারীতে থাকে মোস্তাকিম। পরে পুলিশের হেডকোয়ার্টার্স ইন্টেলিজেন্স উইং এর সহযোগিতায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তিনি আরো জানান, মোস্তাকিমের বিরুদ্ধে এর আগে হত্যা মামলাসহ ৪টি মামলা আছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, বগুড়া সদরের মালগ্রাম এলাকার রমজান আলী ছেলে হাসান আলী (২৬), ঠনঠনিয়া হিন্দুপাড়ার আব্দুল কাদেরের ছেলে জীবন (২১), ঠনঠনিয়া মধ্যপাড়া এলাকার মৃত আবু তালেবের ছেলে রাসেল মিয়া (৩০) এবং মিলু। গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চাইবে পুলিশ। উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে পাসপোর্ট অফিসের এডি সাজাহান কবিরকে কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা। পরে তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সন্ধ্যায় তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় নেওয়া হয়। সেখানে স্কয়ার হাসপাতালে বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে তাকে ভর্তি করা হয়।
সাজাহান কবিরের স্ত্রী নাহিদ কবির জানান, ওই রাতেই হাসপাতালে রাত ২টা পর্যন্ত অপারেশন চলে। অপারেশন শেষে সেখানকার ডাক্তাররা জানিয়েছেন, তিনি আশঙ্কামুক্ত।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন