শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মহানগর

সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে শাহবাগে আন্দোলন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩১ মার্চ, ২০১৮, ৩:২৬ পিএম

সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে রাজধানীর শাহবাগে চাকরি প্রত্যাশীদের মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ শনিবার (৩১ মার্চ) রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের’ ব্যানারে এই মহাসমাবেশর আয়োজন করা হয়। এতে অংশ নেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শতাধিক সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থী৷

আন্দোলনকারীরা তাদের দাবির পক্ষে ১৪টি যুক্তি তুলে ধরেন৷ এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য যুক্তিসমূহ হলো-বিপিএসসির যথাসময়ে পরীক্ষা নিতে না পারা, রাজনৈতিক অস্থিরতার জন্য শিক্ষার্থীদের সময় নষ্ট হওয়া, সেশন জটের কারণে যথাসময়ে শিক্ষাজীবন শেষ না হওয়া।

সমাবেশ চলা অবস্থায় আন্দোলনকারীদের একজন বেকার সেজে ভিক্ষা করেন৷ তখন পুলিশসহ উপস্থিত সবাই তাকে টাকা দেন৷

সমাবেশ শেষে আন্দোলনকারীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি শাহবাগ থেকে শুরু হয়৷ পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র ঘুরে ফের শাহবাগে এসে শেষ হয়৷ এসময় তাদের হাতে বিভিন্ন লেখাসহ প্ল্যাকার্ড ঝোলানো ছিল৷ এতে লেখা ছিল- '৩২, ৩৩ মানিনা ৩৫ ই হোক ঠিকানা', ‘৩৫ এ যখন যুবনীতি তবে কেন এতো ভীতি’, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি মোদের মাতা, মাথার ওপর দিয়ে দিন ৩৫ এর ছাতা’ ইত্যাদি

আন্দোলনকারী মো. ওয়াফিকুর রহমান বলেন, ‘আমাদের মূল দাবি হলো সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩০ থেকে ৩৫ করা৷ আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৪০৷ কিন্তু আমাদের দেশে এটা বাড়ানো প্রয়োজন৷ কারণ আগে বাংলাদেশে মানুষের গড় আয়ু যখন ৫৭ ছিল। তখন সরকার চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ছিল ২৭ ৷ কিন্তু এখন মানুষের গড় আয়ু বেড়ে ৭০-৭২ হলেও চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ রয়ে গেছে৷ আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের বয়সসীমা বাড়ানোর পাশাপাশি আনুপাতিক হারে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানসহ অন্যান্যদের বয়সসীমা বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছি।’

আন্দোলনকারী শেখ মো. আবদুল আহাদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা শেষ করতে করতে বয়স বেড়ে ২৭ হয়ে যায়৷ এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ার সঙ্গে চাকরির পরীক্ষার পড়াশোনার পদ্ধতি অনেক ভিন্ন৷ যার ফলে আমরা যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও চাকরি পাচ্ছি না৷ আমাদের সংবিধানের ২৯ (১) অনুচ্ছেদে উল্লেখ আছে যে চাকরি লাভের ক্ষেত্রে প্রত্যেক নাগরিক সমতা লাভ করবে৷ কিন্তু বর্তমান পদ্ধতি প্রায় সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।’

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন