বাংলাদেশ ইকোনমিক জোন কর্তৃপক্ষ (বেজা) বাংলাদেশের সর্বপ্রথম বেসরকারী অর্থনৈতিক অঞ্চলের লাইসেন্স প্রাপ্ত মেঘনা ইকোনমিক জোন এর ৫টি শিল্প প্রতিষ্ঠান উদ্বোধন করেছে। গতকাল শনিবার মেঘনাঘাট, সোনারগাঁও, নারায়ণগঞ্জে প্রতিষ্ঠানগুলো উদ্বোধন করা হয়। এগুলো হল- মেঘনা পাল্প এন্ড পেপার মিলস লি., মেঘনা এডিবল অয়েলস রিফাইনারী লি., এম.পি.পি পাওয়ার প্লান্ট লি., সোনারগাঁও ফ্লাওয়ার এন্ড ডাল মিলস লি., তাসনিম কেমিক্যাল কমপ্লেক্স ইউনিট-২ লিঃ এবং মেঘনা ইন্ডাষ্ট্রিয়াল ইকোনমিক জোনে ৩টি শিল্প প্রতিষ্ঠান মেঘনা বেভারেজ লি., ইউনিক সিমেন্ট ফাইবার ইন্ডাষ্ট্রিজ লি. ও সোনারগাঁও স্টীল ফেব্রিকেট লি.। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, বিশেষ অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, রেল মন্ত্রী মো. মজিবুল হক। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম (মহিউদ্দিন), এসডিজি বাস্তবায়নের এর মুখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদ ও বাংলাদেশ ইকোনমিক জোন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী, মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাষ্ট্রিজের পরিচালক তানজিমা মোস্তফা, সংশিল্প উদ্যোক্তা এবং মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাষ্ট্রিজ এর বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাষ্ট্রিজ এর চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল বলেন, ইকোনমিক জোনের অনুমতি প্রাপ্ত হয়ে ইতোমধ্যে ২টি জোনে ৩হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৮টি নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন যেখানে ৫হাজার লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আরো ১০টি শিল্প প্রতিষ্ঠান বর্তমানে নির্মাণাধীন রয়েছে। এ সব প্রতিষ্ঠানে অপারেশন শুরু হলে আরো ১২ থেকে ১৫ হাজার লোকের কর্মসংস্থানের সযোগ সৃষ্টি হবে। এছাড়া চীন, অষ্ট্রেলিয়া এবং জার্মানীর শিল্পোদ্যাক্তাদের সঙ্গে নতুন নতুন শিল্প স্থাপনের আলোচনা এগিয়ে চলেছে এবং অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত টিআইসি এর সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি অনুযায়ী মেঘনা ইন্ডাষ্ট্রিয়াল ইকোনমিক জোনে ১২ একর জমির উপর নতুন কারখানা নির্মাণাধীন রয়েছে। তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, বাংলাদেশ ইকোনমিক জোন কর্তৃপক্ষ ও সরকারের সহায়তা অব্যাহত থাকলে আগামী ২/৩ বছরের মধ্যে বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের মাধ্যমে আরো ৩টি নতুন অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করে বাংলাদেশকে শিল্প সমৃদ্ধ দেশে রুপান্তরের প্রচেষ্টা গ্রহণ করবেন। এ জন্যে তিনি সরকারের অব্যাহত সহায়তা কামনা করেন। বাংলাদেশের শীর্ষ উৎপাদনশীল প্রতিষ্ঠান বর্তমানে মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাষ্ট্রিতে ৪০টি শিল্প প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ভোগ্য পণ্য যথা- তেল, ডাল, আটা, চিনি, ময়দা, সুজি, মরিচ, মসলা, লবণ, পানি, কোমল পানীয়, কাগজ, টিস্যু, সিমেন্ট, বিভিন্ন প্রকার কেমিক্যাল, বিদ্যুৎ উৎপাদন করে থাকে। এ সব পণ্য ‘ফ্রেশ ব্রান্ড’ নামে সমাধিক পরিচিত। অনেক পণ্য দেশীয় চাহিদার যোগান দিয়ে বর্তমানে ভারত, নেপাল, ভ‚টান, শ্রীলঙ্কা, মরিশাস, দক্ষিণ আফ্রিকা প্রভৃতি দেশে রপ্তানী কার্যক্রম চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন