শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

বিএনপি ১০ নেতার লেনদেনের তথ্য চেয়ে ৭ ব্যাংকে দুদকের চিঠি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৫ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

১২৫ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ অনুসন্ধানে বিএনপির শীর্ষ ৮ নেতাসহ ১০ জনের লেনদেনের তথ্য জানতে সাতটির ব্যাংকের কাছে চিঠি দিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল বুধবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এ সংক্রান্ত পৃথক পৃথক চিঠি দেয়া হয়েছে বলে সূত্র জানা যায়। দুদকের উপপরিচালক ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা মো. সামছুল ইসলামের সই করা চিঠিতে সংশ্লিষ্টদের যাবতীয় হিসাবের বিস্তরিত তথ্য চাওয়া হয়েছে।
যেসব ব্যাংকে চিঠি দেওয়া হয়েছে সেগুলো হলো- এইচএসবিসি, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড, ডাচ বাংলা, ন্যাশনাল, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, আরব বাংলাদেশ ও ঢাকা ব্যাংক। এই চিঠি পাঠানো হয়েছে জানিয়ে দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা সামসুল আলম সাংবাদিকদের বলেছেন, আমরা তাদের বিভিন্ন সময়ের লেনদেনের স্টেইটমেন্ট চেয়েছি। বিএনপি নেতারা বলেছেন, নির্বাচনের বছর রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে হয়রানির লক্ষ্যে দুদককে দিয়ে এই কাজ করাচ্ছে সরকার। তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা বলেছেন, দুদকের কাজে সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ নেই। বিএনপি বলছেন দুদক আজ্ঞাবহ এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত হয়ে কাজ করছেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে গত মঙ্গলবার দুদক চেয়ারম্যান বলেন, রাজনীতিবীদরা কি বললেন সেটা আমি কোন কোন বক্তব্য দিতে পারি না।
গত সোমবার দুদকের উপ-পরিচালক ঋত্বিক সাহা স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে বিএনপি নেতাদের সন্দেহজনক লেনদেন অনুসন্ধানের সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। চিঠিতে বলা হয়, ৩০ দিনে তাদের একাউন্ট থেকে মানিলন্ডারিং ও সন্দেহজনক লেনদেনের মাধ্যমে ১২৫ কোটি টাকা লেনদেনসহ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ। নেতারা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, এম মোরশেদ খান, যুগ্ম-মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল ও নির্বাহী সদস্য তাবিথ আউয়াল। একই অভিযোগ আসায় মোরশেদ খানের ছেলে ব্যবসায়ী ফয়সাল মোরশেদ খান এবং ঢাকা ব্যাংকের এমডি সৈয়দ মাহবুবুর রহমানের বিষয়েও অনুসন্ধান করবে দুদক। পাশাপাশি তাদের সবার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগও অনুসন্ধান করবে দুদক। অনুসন্ধানের জন্য দুদক উপ-পরিচালক মো. সামছুল আলমের নেতৃত্বে দুই সদস্েযর অনুসন্ধান দল গঠন করা হয়েছে। দলের অন্য সদস্য হলেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সালাহ উদ্দিন।
প্রসঙ্গত, বাংলা ইনসাইডার নামে একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে এই সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশের পর দুদকের তদন্তে শুরু করে। এদিকে দুদকের এই তদন্ত নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা চলছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন