তানিয়া আহমেদ তন্বী
কোলাহল ভাল লাগে না। নির্জন কোথাও বসতে চা খেতে ভাল লাগে। নদী, পাহাড় হলে মন্দ হয় না। কথাগুলো বলছিলেন সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয় ফামের্সী বিভাগের শিক্ষার্থী তানিয়া আহমেদ তন্বী।
দেশের বাড়ি টাঙ্গাইলের নাগরপুর হলেও ছোট বেলা থেকে বেড়ে উঠেছেন সাভারে। স্কুল-কলেজের গ-ি পেরিয়ে এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে। ৩য় বর্ষে পড়া মেয়েটি ছোট থাকতে জাতীয় পর্যায়ে গান, ছড়াতে অনেক সনদ পেয়েছেন। সময় পেলে লেখালেখি করেন।
মেডিকেলে পড়ার ইচ্ছা ছিল পরে ফামের্সী বিভাগে ভর্তি হই বাবার ইচ্ছায়। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়কে বাংলাদেশের শান্তিনিকেতন মনে হয়।
ক্যাম্পাসটাও অনেকটা শহর থেকে কাছে, কোলাহলমুক্ত-মনোরম পরিবেশে অবস্থিত। সব কিছু মিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেমে পড়ে গেছি।
আমি পারি। চেষ্টা করলে পারি। ছবি আঁকতে ভালবাসি। গান গাই নিজের জন্য। কবিতা পড়ি আবৃতিও করি। উপস্থাপনটা অনেক বেশি আমাকে টানে। বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হলে সব সময় আওয়াজ পেয়ে থাকি। তবে ভবিষ্যৎএ গান নিয়ে থাকতে চাই।
আমি ভাল শ্রোতা। গান শোনা শুরু হয় বাপ্পা মজুমদারকে দিয়ে, রবীন্দ্রসংগীত গাইতে ভাল লাগে তাছাড়া কৃষ্ণকলি, আনুশেহ, অর্ণবও অনেক ভালো লাগে এবং সমাজকে নিয়ে ভাবতে সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষকে নিয়ে কাজ করতে ভাল লাগে। আমি দেশকে নিয়ে ভাবি। আমার চিন্তা সঠিক নাও হতে পারে। মিছিল, মিটিং এর দরকার নাই, প্রয়োজন আমাদের মানসিকতার পরির্বতন। নিজেকে মূল্যায়ন করতে শিখতে হবে। নির্ভরশীলতা কমাতে হবে।
বাবার প্রত্যশা ভাল ফলাফল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হতে হবে। এত কিছুর মধ্যে পড়াশোনা ঠিক রাখার ব্যাপারে আমি ভিষণ আশাবাদী। বাবার কথা প্রথম হতে হবে ২য় হলে চলবে না। বাবাকে ভালবাসি। তাকে মূল্য দিতে চাই অনেক। বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেকটা উপস্থাপিকা ও গায়িকা হিসাবে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। বেশ কিছু সফল অনুষ্ঠানের উপস্থাপিকা তিনি। ক্যাম্পাসে সময় পেলেই বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাতে, আড্ডা দিতে ভাল লাগে।
ভবিষ্যৎ এ ভাল কিছু করার ইচ্ছা আছে। ভাল উপস্থাপিকা, ভাল গায়িকা, ভাল ফার্মাসিস্ট, ভাল ইনকাম, নিজের একটা ফ্লাট, নিজের গাড়ি। নিজে ড্রাইভও করব। অসহায় নারী শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ানোর প্রবল ইচ্ছা তানিয়া আহমেদ তন্বীর। স্বপ্ন দেখতে ভালবাসেন এবং স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে দৌড়াতে চান তিনি।
ষ আসিফ আল আজাদ
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন