শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামী জীবন

অপসংস্কৃতির ফসল নৈতিক অবক্ষয়

গাজী মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জাবির | প্রকাশের সময় : ১৩ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

সৎ কর্ম করা এবং সৎপথে আহ্বান করা অত্যন্ত ফজিলত পূর্ণ ও বরকতময় একটি কাজ। এছাড়া অশ্লীল ও মন্দ কাজ থেকে কাউকে ফিরিয়ে আনাও সওয়াবের কাজ। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হচ্ছে, “কেউ কোনো ভালো কাজের সুপারিশ করলে তাতে তার অংশ থাকবে এবং কেউ কোনো মন্দ কাজের সুপারিশ করলে তাতে তার অংশ থাকবে” (সুরা নিসাঃ ৮৫)। সুতরাং তরুণদের অন্ধকারাচ্ছন্ন গলি থেকে ভালো পথে এনে কর্মমুখী করা একটি উত্তম সৎ কর্ম। ইরশাদ হচ্ছে, “কেউ কোনো সৎকাজ করলে সে তার দশ গুণ পাবে, আর কেউ যদি অসৎ কাজ করে তবে তাকে তারই প্রতিফল দেয়া হবে আর তাদের প্রতি কোনো জুলুম করা হবে না”(সুরা আনআমঃ ১৬০)। একজন তরুণকে অন্ধকার জগৎ থেকে আলোর পথে ফিরিয়ে আনার অর্থই হলো পুরো সমাজ ব্যবস্থাকে আলোর দিকে নিয়ে আসা। তরুণরা ভালো পথে ফিরে এলে পুরো সমাজের দৃশ্যপট বদলে যাবে। তরুণদের সুন্দর পথে ফেরানো কোনো একক ব্যক্তি গোষ্ঠির দায়িত্ব নয়। একটি সুন্দর ভবিষৎ প্রজন্ম তৈরি করার তাগিদ থেকে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সামর্থ্য ও যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ করে যেতে হবে। এরশাদ হচ্ছে, “তোমাদের মধ্যে এমন একটা দল থাকতে হবে, যে দল মানুষকে সুকর্মের দিকে আহ্বান করবে এবং খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখবে; এ ধরণের মানুষরাই হবে কল্যাণ প্রাপ্ত।” (আল কোরআন)
তরুন সমাজের একটি অংশ আজ আকাশ সংস্কৃতির বিরূপ প্রভাবে হেরোইন, মদ, গাঁজা, ইয়াবা, ফেনসিডিল, খুন, ধর্ষণ, ইভটিজিং, হানাহানি, দ্বন্ধ, সংঘাত ও কোন্দলে জড়িয়ে পড়ছে। রাত জেগে লেখা-পড়া বা ধর্মীয় জ্ঞান চর্চার পরিবর্তে ফেইসবুক, পার্ক ক্লাব চাইনিজে অশ্লীল নৃত্য নাচের আমোদ ফুর্তিতে এবং নেশার অন্ধকারাচ্ছন্ন গলিপথে রাতভর আড্ডাবাজিতে সময় কাটাচ্ছে। আমাদেরকে তাদের মাঝে একটি সম্ভাবনাময় স্বপ্নের পৃথিবী তৈরির আশা জাগিয়ে তুলতে হবে। তাহলে আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্র সুন্দর হবে। কিন্তু শয়তান মানুষকে কুপ্ররোচনার মাধ্যমে অশ্লীল ও খারাপ জিনিসকে আকর্ষণীয় ও উত্তম হিসেবে পেশ করে। হালালকে হারাম, হারামকে হালাল, দ্বীনের বাইরের কথাকে দ্বীনের কথা বলে চালিয়ে দেয়। আকাশ সংস্কৃতির অপছায়া আজ গ্রাস করছে কোমলমতি হৃদয়গুলোকে। অপসংস্কৃতি আর বেহায়াপনার মাধ্যমে তারা আমাদের সন্তানদের জীবন থেকে সুন্দরতম স্বপ্নগুলোকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। ছোট থেকে বড় পরিবারের সবাই জেঁকে বসেছে এসব অপসংস্কৃতির গড্ডালিকায়। সংস্কৃতির আদান প্রদান দোষের কিছু নয়। সংস্কৃতির আদান-প্রদানের মাধ্যমেই একটা জাতির পরিচয়, সভ্যতা, ইতিহাস, ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়, ভাবের আদান-প্রদান হয়, জ্ঞানের পরিধি বাড়ে। কিন্তু বর্তমানে নিজস্ব সংস্কৃতি বাদ দিয়ে বিদেশি অপসংস্কৃতির চর্চা বেশি করা হয়, যা জাতীয় সংস্কৃতির ঐতিহ্যকে মুছে ফেলার নামান্তর। আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি ভিনদেশিরা কীভাবে নিয়েছে, আমরা আমাদের সংস্কৃতিকে বিশে^র দরবারে কতটুকু তুলে ধরতে পেরেছি তা জানি না। তবে আমরা আমাদের সাংস্কৃতিক জগতের দিকে তাকালে মনে হয় বিদেশী অপসংস্কৃতির কাছে নিজস্ব সংস্কৃতির ঐতিহ্য হারাতে বসেছে। আমাদের পারিবারিক ও সমাজ জীবনে মানবিক মূল্যবোধ ও নৈতিকতার অবক্ষয় চলছে; এর পিছনে চিত্তবিনোদনের নামে চলচ্চিত্রে যা চলছে তাকে কোনো অবস্থায় সুস্থ বিনোদন বলা যায় না। এটা এক ধরনের ব্যাধি, এক ধরনের অপসংস্কৃতি। মানুষ চায় সুস্থ বিনোদন। কাটপিস পড়া নিতম্ব দোলানো চলচ্চিত্র যদি মানুষকে আকৃষ্ট করত-তবে প্রেক্ষাগৃহ গুলোর অবস্থা এমন কেন? এত বিজ্ঞাপন, এত হাঁকডাক করেও মানুষকে কেন চলচ্চিত্রমুখী করা যাচ্ছে না। সাংস্কৃতিক অঙ্গনে জনপ্রিয় যে দুটো মাধ্যম চলচ্চিত্র এবং সংগীত। মনে হয় এই দুটো মাধ্যমেই অপসংস্কৃতি দ্বারা আক্রান্ত। বর্তমানে চলছে অপসংস্কৃতির এক তান্ডবলীলা। ওয়েস্টার্ন মিউজিকের আদলে কথা বাংলায়, সুর ও মিউজিক সম্পূর্ণ ওয়েস্টার্ন এই অভিনব পদ্ধতি নানা বর্ণ ও কৌশল এর সংমিশ্রণে বাংলা গান তার নিজস্ব মৌলিকত্ব ও বৈশিষ্ট্য হারাচ্ছে। যুব সমাজের একটি অংশ আজ মুক্তবুদ্ধি, চিন্তা-চেতনার বিকাশ না ঘটিয়ে মদ, জুয়া, গাঁজা, ইয়াবার মতো মরণব্যাধি ট্যাবলেটের পিছনে। আরেকটি ব্যাপার হচ্ছে! স্যাটেলাইট চ্যানেলের ঢালাও প্রবেশের কু-প্রভাব। ভারতীয় সংস্কৃতিকে বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে পৌছে দিচ্ছে এই চ্যানেলগুলো। এর ফলে শিশু থেকে কিশোর, কিশোরী বৃদ্ধ সহ সবাই ভারতীয় চটকদার সংস্কৃতির সংস্পর্শে আসছে। ফলাফল দাঁড়াচ্ছে খুব খারাপের দিকে। এ নিয়ে পত্র পত্রিকায় লেখা-লেখি ও আশংকা প্রকাশ করা হয়েছে। ভারত নিয়ন্ত্রিত চ্যানেলগুলোতে অসামাজিক সম্পর্ক, নির্বিচারে নগ্নদেহ, ব্যভিচার ও পরকীয়ার প্রদর্শন করা হয়, যা হাজার বছরের বাঙাালি সংস্কৃতির সঙ্গে সম্পূর্ণ বৈষম্যমূলক। স্টার জলসা নামের একটি চ্যানেলে বাংলা ভাষায় পারিবারিক ঝগড়া শেখানোর নানা ড্রামা সিরিয়াল দেখানো হয়। মধ্যবয়সী বাংলাদেশী নারীরা এই চ্যানেলে এতই আসক্ত বাংলাদেশের জাতীয় বড় ঘটনাগুলো উপেক্ষা করে তারা এই চ্যানেলে বুঁদ হয়ে থাকে। এই চ্যানেলের একটি সিরিয়ালের চরিত্র পাখির নামে আসা ড্রেস কিনে না দেয়ায় একাধিক কিশোরী আত্মহত্যা করে। যা আমাদের শিকড়হীন হয়ে পড়ার সাক্ষী। হযরত আদম (আঃ) ও হাওয়া (আঃ) কে শয়তান প্ররোচনা, ধোঁকা ও প্রলোভন দেখিয়ে নিষিদ্ধ বৃক্ষের ফল খেতে বাধ্য করে। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, অতঃপর শয়তান উভয়কে প্ররোচিত করে, যাতে তাঁদের অঙ্গ যা তাঁদের কাছে গোপন ছিল, তাঁদের সামনে প্রকাশ করে দেয়। সে বলল, তোমাদের পালনকর্তা তোমাদের এ বৃক্ষ থেকে নিষেধ করেন নি, তবে তা এ কারণে যে তোমরা না আবার ফেরেশতা হয়ে যাও কিংবা হয়ে যাও চিরকাল বসবাসকারী। সে তাদের কাছে কসম খেয়ে বলল, আমি অবশ্যই তোমাদের হিতাকাংখী । (সুরা: আরাফ-২১-২২), আরো ইরশাদ হচ্ছে, অতঃপর শয়তান তাঁকে কুমন্ত্রণা দিল, বলল, হে আদম আমি কি তোমাকে বলে দেব অনন্তকাল জীবিত থাকার বৃক্ষের কথা এবং অবিনশ^র রাজত্বের কথা (সুরা ত্বাহা: ১২০)। শয়তানের মিশন হল, মানুষকে মিথ্যা আশ্বাস ও প্রবঞ্চনা দ্বারা পথভ্রষ্ট করা এবং আল্লাহর অবাধ্যতায় তার অনুসারী বানানো। আমরা আজ তাই দেখছি, মা মেয়ে একত্রে টিভির পর্দায় এমন সব ছবি দেখছে, যাতে এক পুরুষ একাধিক নারীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করছে, আবার এক নারী একাধিক পুরুষের সঙ্গে যৌন তৃপ্তি ভোগ করছে। এ সব ছবি পুরোপুরি পর্নো না হলেও সমাজের জন্য ক্ষতিকর। পর্নোগ্রাফির করাল গ্রাসে নিপতিত আজকের সমাজ। এ সব পর্নো এবং টিভি সিরিয়ালের পাশ্চাত্যমুখী প্রভাব পড়ছে নতুন প্রজন্মের ছেলে মেয়ের উপর, বিশেষ করে কম্পিউটার ব্যবহারের নানা প্রোগ্রামের মাধ্যমে প্রায় সব কিছুই পাওয়া সম্ভব। ফলে আজ সহজ মেলামেশার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে উঠছে নারী পুরুষের মধ্যে। পাশ্চাত্যের অনুকরণে ব্যবহৃত পোশাক পরিচ্ছদ যৌনতার ব্যাপারে অনেকাংশে দায়ী। ভুলে গেলে চলবে না প্রকৃতির নিয়ম অনুযায়ী নারীর দেহ। অর্থাৎ নারী দেহের এমন কিছু অংশ পুরুষকে আকর্ষণ করে যা পুরুষের মস্তিষ্ক কোষে যৌনতার প্রলুদ্ধ করে। সভ্যতার বিকাশ এবং মানব সমাজ গঠনে বিশেষ প্রভাব রয়েছে যৌনতার। তবে সমাজে বিয়ে প্রথা চালু হওয়ার পর থেকে কেবলমাত্র স্বামী-স্ত্রীর মিলনকেই বৈধতা দেওয়া হয়েছে। এর বাইরের অন্য সব সম্পর্কই অনৈতিক। চীনের সর্বত্র সমাজ গড়ার প্রতিটি কাজে নারী পুরুষের সহাবস্থান অথচ অবৈধ সম্পর্ক সেখানে নিয়ন্ত্রণে। মেয়েরা নির্ভয়ে পথ চলে একাকি। কিন্তু আমাদের দেশে সাধারণ মেলামেশার সূত্র ধরেই বিপদজ্জনক অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে উঠে। ফলে, পরিবার ভাঙ্গছে, সমাজ নড়বড়ে হচ্ছে। মারাত্মক মরণব্যাধি “এইডস” এর মূলেও সে অনৈতিক সম্পর্ক। আর একটি কথা ধর্ষণ আর অনৈতিক সম্পর্ক দুটোই একই মুদ্রার এপিঠ ওপিট। ধর্ষণে অপরাধী একজন আর অনৈতিক সম্পর্ক সৃষ্টিতে অপরাধী উভয়েই। ধর্ষণ বলপূর্বক আর অনৈতিক সম্পর্ক সেচ্ছায়। দ’ুটোতে আসলে মৌলিক কোন তফাৎ নেই। এ সব সমস্যার কারণে পরিবারগুলো ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে একদিন সমাজটাই বিপন্ন হয়ে পড়বে। শয়তান মানুষের শিরা-উপশিরায় বিচরণ ও চলাফেরা করে আদম সন্তানকে পথহারা করে। মুমিনের ইবাদতে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে ইবাদত নষ্ট করে দেয়, যাতে তাকে সে পুণ্য থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারে। হযরত ওসমান ইবনে আবুল আস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি একবার রাসুলে পাক (দঃ) এর নিকট আরজ করলাম হে আল্লাহ’র রাসুল (দ:)! শয়তান আমার মাঝেও নামাজ এবং কেরাতের মাঝে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় এমনকি তাতে জটিলতা সৃষ্টি করে, তখন রাসুল (দঃ) বলেন, তুমি যখন তার উপস্থিতি অনুভব করবে, তখন তার কুমন্ত্রণা থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করবে এবং তোমার বাম দিকে তিনবার থুথু ফেলবে। বণর্নাকারী বলেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কথা অনুযায়ী আমি অনুরূপ করলাম। ফলে আল্লাহ তায়ালা আমার কাছ থেকে শয়তানকে দূর করে দেন (মুসলিম শরীফ)। শয়তান মানুষকে কুমন্ত্রণা দেয়। সব মানুষের সঙ্গে শয়তান আছে। মহানবী (দঃ) বলেন, তোমাদের মধ্যে এমন কেউ নেই, যার সঙ্গে জিনও ফেরেশতাদের মধ্য থেকে কাউকে সঙ্গী ও নিযুক্ত করা হয়নি। হযরত সাহাবায়ে কেরামগণ আরজ করলেন, হে আল্লাহর রাসুল (দঃ) আপনার সঙ্গে কি জিন সঙ্গী নিযুক্ত আছে। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন হ্যাঁ আমার সঙ্গেও আছে তবে আল্লাহ তায়ালা তার ওপর আমাকে বিজয়ী করেছেন। ফলে সে আমার অনুগত হয়ে গেছে। (মুসলিম শরীফ)। অপরদিকে বর্তমান সময়ের যুবসমাজে হিন্দি গান, চলচ্চিত্র ও সিরিয়ালে দেশের তরুণ প্রজন্মের মাঝে হিন্দি ভাষাকে প্রিয় করে তুলছে। তরুণদের একটি অংশ ইতিমধ্যে হিন্দি বলতে পারাকে কথিত স্মার্টনেস হিসেবে দেখছে, ফেইসবুকের টাইম লাইনে হিন্দিতে স্ট্যার্টাস দেয়া বা হিন্দি গান ইংরেজি অক্ষরে লেখা আমাদেরকে হুঁশিয়ারি দিচ্ছে আপন সংস্কৃতিকে ধ্বংস হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে। দুঃখের বিষয় হিন্দি ও উর্দু যে একই ভাষার দুইটি অভিন্ন রূপ এই কথা উর্দুর বিরুদ্ধে যারা সংগ্রাম করেছেন তাদের উত্তরসূরিরা জানেই না। দেখা যাচ্ছে কোনো বাংলাদেশী তরুণ হয়তো ভাষা আন্দোলনের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে উর্দু প্রীতিদের তিরস্কার করছে, আবার এই তরুণই উর্দুর ভারতীয় রূপ হিন্দির প্রতি অনুরক্ত। ভাষার প্রতি এই অবহেলা সাংস্কৃতিক আগ্রাসনকে ত্বরান্বিত করছে একথা সচেতন ব্যক্তি মাত্র জানেন। ধোঁকা দেওয়া শয়তানের অন্যতম কৌশল। শয়তান হযরত আদম ও হাওয়া (আঃ) কে ধোঁকা দিয়ে বলল, মানুষের পরিণাম হলো মৃত্যু, তবে এ বৃক্ষের ফল যে খাবে সে চিরজীবী হবে। ইরশাদ হচ্ছে, অতঃপর শেষ পর্যন্ত শয়তান এ ব্যাপারে তাদের পদস্খলন ঘটাল এবং তারা যেখানে ছিল, সেখান থেকে তাদের নিষিদ্ধ ফল খাওয়ার প্ররোচনা দ্বারা বহিষ্কৃত করে। (সুরা বাকার: ৩৬)।
মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা বাম হাতে খেয়ো না, কারণ শয়তান বাম হাতে খায়। (মুসলিম শরীফ)। ইসলাম হচ্ছে সৃষ্টিকর্তার আল্লাহ তায়ালার প্রদত্ত জীবন বিধান। সৃষ্টিকর্তা তার সৃষ্টি সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি অবগত। ইসলামের শাশ^ত বিধান উপেক্ষা করে শান্তিময় জীবন সম্ভব নয়। তাই আমাদের যুবসমাজকে প্রযুক্তির অপব্যবহার, অনৈতিক সম্পর্ক ও অপসংস্কৃতির কবল থেকে বাঁচাতে এবং ব্যক্তি, পারিবারিক ও সামাজিক সম্পর্ক উন্নয়নে যথার্থ পদক্ষেপ নিতে হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন