ঝোপঝাড়ে ঘেরা গ্রামে বৈদ্যুতিক আলোয় ঝলমল কর। ঘরগুলো দালানকোঠায় রূপ নিচ্ছে। এটা উন্নয়নের প্রতিচ্ছবি। নি¤œ-মধ্যবিত্ত শ্রেণির যুবকদের হাতেও পৌঁছে গেছে এন্ড্রোয়েড মোবাইল। অবশ্যই তার সঙ্গে আছে থ্রি-জি নেটওয়ার্ক। আর তাতেই সামান্য টাকা খরচ করে বন্ধুদের আড্ডায় সবাই দেখছে হলিউড, বলিউড হরর সিনেমার মারামারির দৃশ্য না হয় যৌন উত্তেজনাকর ভিডিও। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হলে, নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার আমাদের জানতে হবে, শিখতে হবে। কিন্তু অপসংস্কৃতির, ছোবলে তরুণ-যুবকেরা নষ্ট করছে মহামূল্যবান সময়। ঘটছে মানসিক বিকৃতি, কমছে সহনশীলতা। সহিংসতায় আনন্দ খুঁজছে। আর নির্মম আঘাতে রক্তাক্ত হচ্ছে খাদিজার মতো বোন। বাড়ছে আত্মহত্যা। এর থেকে পরিত্রাণ পেতে পণ্যে সাইটগুলো বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। এতে সামাজিক অস্থিরতা কিছুটা হলেও কমবে বলে মনে করি। এ ব্যাপারে দেশের নীতি-নির্ধারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
মো. তাজুল ইসলাম সুজন
জয়কৃষ্ণপুর, হাসানহাট, নোয়াখালী।
যোগ্যরা বঞ্চিত হতে যাচ্ছে
বর্তমান সরকার শিক্ষাক্ষেত্রে বেশ কিছু চমৎকার পদক্ষেপ নিয়েছে যা প্রশংসার দাবি রাখে। আমি যে বিষয় নিয়ে লিখছি তা হলো-এনটিআরসিএ কর্র্তৃক অনলাইনে আবেদন গ্রহণ এবং মেধার ভিত্তিতে বেসরকারী স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় (নিবন্ধনধারীদের) শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ সম্পর্কে। আগে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটি শিক্ষক নিয়োগে মূল ভূমিকা রাখতেন। অভিযোগ আছে- এক্ষেত্রে ঘুষের বিনিময়ে বহু প্রতিষ্ঠানে কম যোগ্যতাসম্পন্ন প্রার্থী চাকরি পেয়ে যেতেন। যোগ্যতর প্রার্থী বঞ্চিত হতেন। তাই বর্তমানে যে উদ্যোগটি নেওয়া হয়েছে তা ভালো। তবে একটি কারণে তাই-ই হতে যাচ্ছে যা আগে হতো। আর সেটি হলো নিয়োগের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট উপজেলার প্রার্থীকে অগ্রাধিকার দেওয়া। জানা মতে, এমন অনেক জেলা আছে যেখানে সব উপজেলায় সহকারী শিক্ষক বা প্রভাষক পদ একটিও খালি নেই। এখন যদি এমন হয়-একজন প্রার্থী যে তার জেলায় সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সর্বাধিক নম্বরপ্রাপ্ত-কিন্তু তার উপজেলায় সংশ্লিষ্ট পদ খালি নেই। তাহলে তিনি অন্য উপজেলায় তখনই চাকরি পাবেন যখন প্রায় অসম্ভব কিছু শর্ত পূরণ হয়। যেমন আবেদনকৃত প্রতিষ্ঠানটির ‘সংশ্লিষ্ট উপজেলায় প্রার্থী পাওয়া না গেলে’। হ্যাঁ বলা আছে ‘যোগ্যপ্রার্থী’ পাওয়া যায়নি, পদ খালি থাকা সত্ত্বেও। ধরা যাক, ইংরেজি বিষয়ে একটি জেলার ১০টি উপজেলার মধ্যে ৮টিতে শূন্য পদ আছে। কিন্তু যে দুই উপজেলায় কোনো পদ খালি নেই, ঐ দুই উপজেলার কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আবেদন করলেন। এবং তিনি ঐ প্রতিষ্ঠানে আবেদনকারী সকল প্রার্থীর মধ্যে প্রথম হলেন কিন্তু সংশ্লিষ্ট উপজেলার প্রার্থীও পাওয়া গেল যিনি বা যাঁরা প্রথম পাঁচজনের মধ্যেই নেই মেধা তালিকায়।
তারপরও সংশ্লিষ্ট উপজেলার বিধায় কোনো প্রার্থী কম স্কোর নিয়েও যদি নিয়োগ পান তাহলে এটা কি অন্যায় হবে না? তাহলে কি মেধাবী হবার চেয়ে সংশ্লিষ্ট উপজেলার প্রার্থী হওয়াটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ? এমন হলে যোগ্যতর এমনকি যোগ্যতমও বঞ্চিত হবেন আর এমনও নয় যে প্রত্যেকটা উপজেলায় বিভিন্ন বিষয়ের প্রতিটিতে ৪০-৫০টি পদ খালি রয়েছে। হ্যাঁ, অগ্রাধিকার তখনই দেওয়া যেতে পারে যদি একই প্রতিষ্ঠানে আবেদনকারীদের মধ্যে যৌথভাবে একাধিকজন সমান স্কোরধারী হয়, তখন বিবেচনা করা যেতে পারে এদের মধ্যে কে সংশ্লিষ্ট উপজেলার প্রার্থী। নইলে আগের তুলনায় এ পদ্ধতিতে মেধাবীরা আরো বেশি বঞ্চিত হবেন। তাই কোনো জেলার অধীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগদানের ক্ষেত্রে উপজেলা নয় জেলা মেধাতালিকা অনুসারে নিয়োগ দেবার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করছি। অন্যথায় বিষয়টি হবে- বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরোর মতো।
মুজিবুর রহমান, কলেজ পাড়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন