দুর্ঘটনার চারদিনের মাথায় আজ বুধবার থেকে উদ্ধার প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে সুন্দরবনের কাছে মোংলা বন্দরের হারবাড়িয়ায় ডুবে যাওয়া কয়লাবাহী কার্গো জাহাজের। বুধবার (১৮ এপ্রিল ) দুপুরের পর ভাটার সময় টাগবোট (সাহায্যকারী জলযান) ও পাইপের মাধ্যমে ডুবে যাওয়া কয়লা পানির ভেতর থেকে পাম্প করে অপসারণ করা হবে। ডুবে যাওয়া জাহাজটিতে কয়লা আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সাহারা এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপক (অপারেশনস) লালন হাওলাদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
লালন জানান, ডুবে যাওয়া জাহাজ এমভি বিলাসের মালিকপক্ষ প্রায় ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে এটির উদ্ধার প্রক্রিয়া শুরু করছে। তিনি আরও জানান, এ কাজে বড় বড় ওয়্যার (বিশেষ রশি), দুটি টাগবোট ও একটি বাল্কহেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
পানির ভেতরে কাজ খুবই কঠিন জানিয়ে লালন হাওলাদার বলেন, ‘উদ্ধার কাজে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি মোংলায় না থাকায় আমরা বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করছি। আজ বুধবার সকালে একটি উদ্ধারকারী টিমের সঙ্গে চুক্তির পর দুপুরের ভাটার পর উদ্ধার কাজ শুরু করবো।’
তিনি বলেন, ‘প্রথমে ১৪ সদস্যের ডুবুরিরা ভাটার সময় ডুবে থাকা কার্গো জাহাজটির দু’পাশ থেকে ওয়্যার টেনে দেবে। এরপর জোয়ার শুরু হলে দু’পাশে টাগবোট দিয়ে ডুবন্ত জাহাজটিকে কিনারে নিয়ে আসবে। তবে এর আগে জাহাজটি থেকে অধিকাংশ কয়লা পাম্প করে বাল্কহেড রাখা হবে।’
এর আগে ডুবে থাকা জাহাজটির মালিক ও বাংলাদেশ জাহাজি শ্রমিক সংঘের সভাপতি মো. দুলাল বলেন, ‘একটি ঘটনা ঘটলে তার আনুষঙ্গিক কাজ করতে কিছু সময় লাগতে পারে। সবকিছু ঠিকঠাক করা হচ্ছে। আজ জাহাজটি থেকে কয়লা উত্তোলনের কাজ শুরুর চেষ্টা করা হচ্ছে।’
সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. মাহামুদুল হাসান বলেন, ‘মঙ্গলবার সকালেও ডুবন্ত কার্গো জাহাজটি উদ্ধার কাজ শুরুর কথা বলেছে মালিক পক্ষ। তবে আজ দুপুর পর্যন্ত তা শুরু করতে পারেনি তারা। দ্রুত সময়ের মধ্যে কার্গোটি উত্তোলনের জন্য মালিক পক্ষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করা হচ্ছে। উদ্ধারের নামে সময়ক্ষেপণ করা হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ডুবন্ত জাহাজটির মালিক পক্ষ এই পর্যন্ত বনবিভাগকে কোনও কাগজপত্র সরবরাহ করেনি। আমরা সংশ্লিষ্ট বিভাগের কাছে প্রয়োজনীয় কাগজের জন্য আজ চিঠি লিখেছি।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন