কুমিল্লায় ডিবি পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আবদুল হালিম (২৮) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ সময় গ্রেফতার করা হয়েছে আরও দুজনকে।
পুলিশের দাবি, নিহত আবদুল হালিম ডাকাত দলের সর্দার। তার বিরুদ্ধে কুমিল্লার বিভিন্ন থানায় সড়ক ও বাড়িতে ডাকাতি, বোমা বিস্ফোরণসহ ১৪টি মামলা রয়েছে। এ ঘটনায় ডিবি পুলিশের ওসিসহ তিনজন আহত হয়েছেন।
বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে বুড়িচংয়ের কংশনগরে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থল থেকে একটি রিভলভার, এক রাউন্ড গুলি, দুইটি ধারালো ছুরি, একটি রামদা, একটি রড ও চারটি মুখোশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত আবদুল হালিম বুড়িচংয়ের বাজেবাহেরচর গ্রামের মফিজুল ইসলামের ছেলে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- জাকির হোসেন (৩৬) দেবিদ্বার উপজেলার জারু মিয়ার ছেলে ও লিমন সরকার (২৫)একই উপজেলার ধামতি গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।
কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক সড়কের বুড়িচংয়ের কংশনগর বাজারের কাছে বিশেষ অভিযানে যায় ডিবি পুলিশের তিনটি দল। এসময় তারা জানতে পারেন- ওই উপজেলার কংশনগর এলাকার একটি ইটভাটার সামনে কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কে ১৪/১৫ জনের সশস্ত্র ডাকাত দল সংঘবদ্ধ হয়ে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে। এতে পুলিশ সমবেত হয়ে রাত ২টার দিকে ওই এলাকায় অভিযান চালায়।
এ সময় ডাকাত দল তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে ও গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি করলে হালিম গুলিবিদ্ধ হয়। পরে গুরুতর অবস্থায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় ডাকাত দলের সদস্য জাকির হোসেন ও লিমন সরকারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন