শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বিনোদন প্রতিদিন

সঙ্গীতাঙ্গনে কুমার বিশ্বজিতের তিন যুগ

অভি মঈনুদ্দীন | প্রকাশের সময় : ২৬ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

সঙ্গীতাঙ্গনে কুমার বিশ্বজিৎ তিন যুগ পার করছেন। এই তিন যুগে বাংলাদেশের সঙ্গীতকে দেশে এবং বিদেশে পরিচিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন এবং করে যাচ্ছেন। নিজস্ব সংস্কৃতির প্রতি দায়বদ্ধতা এবং বিদেশি সংস্কৃতির আগ্রাসনের বিরুদ্ধে তিনি বরাবরই সোচ্চার। সঙ্গীতের বিশুদ্ধতা নিয়ে তিনি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলা গানের ক্রমবিবর্তনের সাক্ষী হয়ে আছেন তিনি। সঙ্গীতে কুমার বিশ্বজিতের সংগ্রামী জীবন শুরু হয় ১৯৭৭ সালে। পেশাগতভাবে ১৯৮২ সাল থেকে বাংলাদেশের সঙ্গীতাঙ্গনে তার পদচারণা শুরু। আব্দুল্লাহ আল মামুনের লেখা এবং নকীব খানের সুর সঙ্গীতে ‘তোরে পুতুলের মতো করে সাজিয়ে’ গানটি বিটিভিতে প্রচার হয় আল মনসুর প্রযোজিত ‘শিউলী মালা’ অনুষ্ঠানে। এই গান দিয়েই এদেশের সঙ্গীতপ্রেমী শ্রোতাদের মনে ঠাঁই করে নেন কুমার বিশ্বজিৎ। ১৯৮৫ সালে নূর হোসেন বলাই পরিচালিত আলাউদ্দিন আলী’র সুর সঙ্গীতে ‘আমরা দু’জন দুটি শান্ত ছেলে’ গানে প্রথম প্লে-ব্যাক করেন তিনি। এরপর অসংখ্য জনপ্রিয় আধুনিক গান উপহার দিয়েছেন তিনি। গান দিয়েই শ্রোতাদের মুগ্ধ করে রেখেছেন। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত একই জনপ্রিয়তা নিয়ে তিনি গান গেয়ে চলেছেন। সঙ্গীতে দীর্ঘ তিন যুগ পার হওয়া প্রসঙ্গে কুমার বিশ্বজিৎ বলেন, ‘আমার বাবা ছিলেন ব্যবসায়ী। বাবার ইচ্ছে ছিল আমি যেন ব্যবসায় মনোযোগ দেই। কিন্তু আমার মায়ের কারণেই আমার আজকের এই অবস্থানে আসা। মায়ের ঋণ কোনভাবেই শোধ করার নয়। এই চিন্তা করাও যেন পাপ। আমি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ আমার প্রথম সুপার হিট গান ‘তোরে পুতুলের মতো করে’র গীতিকার চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আব্দুল্লাহ আল মামুন, সঙ্গীত পরিচালক নকীব ভাই, প্রথম প্লে-ব্যাকের সঙ্গীত পরিচালক আলাউদ্দিন আলী ভাইয়ের কাছে। এরপর অনেক সুরকার, সঙ্গীত পরিচালক, গীতিকারের গান আমি গেয়েছি। তাদের প্রত্যেকের কাছে আমি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ। সর্বোপরি সঙ্গীতাঙ্গনে আমার আজকের অবস্থানের পিছনে যখন যেখানে গিয়েছি সেখানে ছোট্ট কোন কাজেও যারই সহযোগিতার হাত পেয়েছি, তার প্রতি আমি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই। সবার দোয়া, ভালোবাসা, সহযোগিতায় আমি আজকের কুমার বিশ্বজিৎ। আমার ছোট্ট এই জীবনে আমাদের সঙ্গীতাঙ্গনকে আমি যা দিয়েছি, প্রতিদানে শ্রোতা-দর্শকের কাছ থেকে বহুগুণ পেয়েছি। সঙ্গীত যদি মহাসমুদ্র হয় আমি তীর তো দূরের কথা বালুচরেরও দেখা পাইনি এখনো।’ কুমার বিশ্বজিৎ তার সঙ্গীত জীবনে অসংখ্য পুরস্কার পান। তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হন।
ছবিঃ কুমার বিশ্বজিৎ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন