শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বিনোদন প্রতিদিন

অসহায়দের পাশে দাঁড়িয়ে অনন্তর অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন

বিনোদন রিপোর্ট | প্রকাশের সময় : ২৮ এপ্রিল, ২০১৮, ১২:০০ এএম

অসহায় মানুষের পাশে বরবারই স্বপ্রণোদিত হয়ে দাঁড়ান জনপ্রিয় চিতনায়ক, প্রযোজক, পরিচালক ও বিশিষ্ট শিল্পপতি অনন্ত জলিল। অসহায়দের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি অনন্ত দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছেন। অসহায়দের সহায়তায় তার হাত বাড়িয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে ভিন্নতা রয়েছে। অসহায়দের তার কাছে যেতে হয় না, বরং তিনি খুঁজে খুঁজে স্বেচ্ছায় পাশে গিয়ে দাঁড়ান। যখনই তিনি জানতে পারেন, সাথে সাথেই তাদের কাছে ছুটে যান। পত্র-পত্রিকার মাধ্যমে তো বটেই ব্যক্তিগতভাবে খোঁজ-খবর নিয়ে প্রকৃত অসহায়দের মাথায় হাত রাখেন। অতীতে এমন অসংখ্য নজির তিনি স্থাপন করেছেন। সম্প্রতি দুটি ঘটনায় তিনি অসহায় তরুণদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত রাজীবের এতিম দুই ভাইয়ের দায়িত্ব স্বেচ্ছায় তিনি নিয়েছেন। তাদের পড়ালেখা এবং থাকা-খাওয়ার পুরো ব্যবস্থা তিনি করেছেন। এর পরপরই ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের নিয়ে আয়োজিত জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অনন্ত প্রধান অতিথি হিসেবে যান। হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণের সভাপতিত্বে প্রতিযোগিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী বিতার্কিকরা অংশগ্রহণ করেন। প্রতিযোগিতায় বিতার্কিকদের বিতর্ক দেখে তিনি অভিভূত হয়ে যান। তিনি বলেন, দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের বির্তক প্রতিযোগিতায় যুক্তি-তর্ক, কথার ভঙ্গি এবং তাদের জ্ঞানের পরিধি দেখে আমি অভিভ‚ত হয়েছি। আমি অবাক হয়েছি, তারা আমাদের মত সুযোগ-সুবিধা না পেয়েও আল্লাহর রহমতে তারা এত সুন্দর পারর্ফম করেছে। যা আমাদের মতো স্বাভাবিক মানুষের সাথে প্রতিযোগিতা করার সার্মথ্য তাদের রয়েছে। তিনি ঘোষণা দেন, এই দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে তাদের যোগ্যতা অনুসারে আমার কো¤পানীতে চাকরির ব্যবস্থা করবো। আপনারা দোয়া করবেন আমি যেন প্রতিনিয়ত এভাবে মানুষের পাশে থেকে সেবা করতে পারি। তিনি বলেন, আল্লাহ সবাইকে সহযোগিতা করার সক্ষমতা দেন না। কাউকে কাউকে দেন এবং নির্দেশ দিয়েছেন অসহায়দের পাশে দাঁড়ানোর। আমি চেষ্টা করি, আমার সামর্থ্য ও সক্ষমতার মধ্যে থেকে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে। এটা আমার দায়িত্ব ও কর্তব্য মনে করছি। তিনি বলেন, দেশে অনেক বিত্তবান রয়েছেন, তাদেরও উচিত অসহায় মানুষের সহায়তায় এগিয়ে আসা। তারা যদি এগিয়ে আসেন, তবে দেশে অসহায় মানুষের সংখ্যা কমে যাবে। অসহায়রা আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠবে। আসলে এটা বলে-কয়ে হয় না। এর জন্য আবেগ-অনুভূতি এবং মানবতার বিষয়টি কাজ করলেই যথেষ্ট। আমি আশা করি এবং বিত্তবানদের আহ্বান জানাই, যার যার অবস্থান থেকে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে। এতে যেমন এ দুনিয়াতেও কল্যাণ সাধিত হবে, তেমনি আখেরাতেও কল্যাণ হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন