পাবলিক বাসে যে শ্রমিকরা নারী যাত্রীদের ধর্ষণ করছে এবং নারীদের হয়রানী করছে তাদের বিরুদ্ধে নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান নীরব কেন তা জানতে চেয়েছেন সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। তিনি বলেন, শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে মন্ত্রী সরব অথচ ধর্ষকদের বিরুদ্ধে নীরব। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে অংশ নিয়ে তিনি এ আহ্বান জানান। তিনি ধর্ষক ও নারী নির্যাতন রুখে দিতে পাড়া-মহল্লায় লাঠি নিয়ে প্রতিরোধ বাহিনী গড়ে তুলতে দেশবাসীকে আহ্বান জানান। ‘নারী নির্যাতন প্রতিরোধ’ শীর্ষক সমাবেশটি আয়োজন করেন সিপিবির নারী সেল। দলের নারী সেলের আহ্বায়ক লক্ষী চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে সিপিবির নেতা অধ্যাপক এ এন রাশেদা, মাকসুদা আক্তার লাইলী, লুনা নূর, শ্রমিক নেতা জলি তালুকদার, ছাত্র ইউনিয়নের নেতা কাজী রীতা ও সাবেক সভাপতি লাকী আক্তার বক্তৃতা করেন।
মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, প্রতিদিন শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ, গৃহিণীকে রাস্তা-ঘাটে, ঘরে-বন্দরে, এমনকী যানবাহনের ভেতরে যৌন নিপীড়ন করা হচ্ছে, হত্যা করা হচ্ছে। টুকরো টুকরো করে কেটে বস্তায় ভরে ফেলে দেওয়া হচ্ছে। এসব ঘটনা বাড়ছে এবং ঘটনার ববর্রতাও দিন দিন বাড়ছে। এটা কীসের ফল? এটা হলো সমাজের ভেতরে নীতি-নৈতিকতার অবক্ষয়। আতঙ্কের বিষয় হচ্ছে কোথাও মা-বোনকে নিয়ে নিরাপদে চলতে পারবেন না। হায়েনার দলগুলো যে কোনো সময় হামলে পড়তে পারে। তাদের যথাযথ শাস্তির বিধান করে এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। সে কারণেই তারা পার পেয়ে যাচ্ছে। এ জন্য আমাদের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। বিবেকবান সব মানুষদের আহ্বান জানাই-পাড়া-মহল্লা ও প্রতিষ্ঠানে আপনারা প্রতিরোধ বাহিনী গড়ে তুলুন। ধর্ষক ও নারী নির্যাতনকারীদের মোকাবিলার জন্য হাতে লাঠি নিয়ে পিকেট গড়ে তুলুন। তুমুল আন্দোলন ছাড়া দেশের এই অরাজকতা ও অন্ধকার থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব নয়। ‘শাজাহান খান মন্ত্রী মহোদয়কে বলতে চাই- আপনার পরিবহন শ্রমিকের ভেতরে যারা হিংস্র কাজ করেছে তার বিরুদ্ধে একটা টু শব্দ কেন আপনার মুখ থেকে শুনতে পাচ্ছি না। কারণ ইউনিয়ন রক্ষার জন্য আপনি কিছু কথা বলবেন না। কথা বললে পরে আপনার ইউনিয়ন টিকে থাকবে না। অপরাধীদের আশ্রয় প্রশ্রয় দেওয়ার নীতির পরিণতিতেই আমরা এসব দেখতে পাচ্ছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন