শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

কাবুলে শান্তি ফেরাতে পাকিস্তান গুরুত্ব পাওয়ায় উদ্বিগ্ন ভারত

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২ মে, ২০১৮, ২:২০ পিএম

একের পর এক সহিংসতায় জর্জরিত কাবুলে শান্তি ফেরাতে পাকিস্তানের ভূমিকা রাখার কথা ভাবছে আন্তর্জাতিক শক্তিগুলো।

আফগানিস্তানে পাকিস্তানের এ গুরুত্ব বাড়ায় গভীর উদ্বেগ তৈরি হয়েছে দিল্লির সাউথ ব্লকে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক অংশের বরাতে আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, পশ্চিমের দেশগুলো বহুদূর থেকে কিছু পূর্বনির্ধারিত ধারণার ভিত্তিতে আফগানিস্তানে শান্তি ফেরানোর সমাধান দিচ্ছে। আপাতত যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া বিশ্বের অন্য শক্তিশালী দেশগুলো শান্তি প্রক্রিয়ার রূপায়ণ তথা তালেবানের সঙ্গে মধ্যস্থতায় পাকিস্তানকে কাজে লাগাতে চাইছে। আর এতেই আপত্তি নয়াদিল্লির।

প্রতিবেশী হিসেবে ভারতের নিরাপত্তায় আফগানিস্তানের পরিস্থিতির প্রভাব পড়ছে। আন্তর্জাতিক শক্তির প্রতি নয়াদিল্লির বার্তা, কাবুলের সহিংসতার পেছনে অন্যতম শক্তি যে পাকিস্তান, এই সত্য স্বীকার করা প্রয়োজন।

আইএস ও তালেবানকে আলাদাভাবে বিবেচনা করে আলাদা আচরণের পক্ষপাতী ইরান, রাশিয়া এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলো।

কিন্তু সাউথ ব্লক মনে করে, দিনের শেষে সবাই সন্ত্রাসবাদী এবং নিজেদের স্বার্থেই পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রেখে চলে।

গত সপ্তাহে ইইউর বিশেষ দূত রোনান্ড কোবিয়া নয়াদিল্লি যান আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে।

তার বক্তব্য, মার্চ মাসে আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি তালেবানের উদ্দেশ্যে যে শান্তি প্রস্তাব দিয়েছেন, তাকে সমর্থন করুক ভারত। শুধু ভারতই নয়, বিভিন্ন রাষ্ট্র যাতে এই প্রস্তাব সমর্থন করে, সে জন্য জনমত তৈরি করতে চাইছে ইইউ।

কূটনৈতিক সূত্রের খবর, নয়াদিল্লি সরাসরি জানিয়ে দিয়েছে যে এই প্রস্তাবটি আদৌ কোনো শান্তি প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবে না।

নয়াদিল্লি মনে করে, আফগানিস্তানে কৌশলগত প্রভাব ধরে রাখার জন্য পাকিস্তান সমানে তালেবানকে ব্যবহার করছে। প্রকৃতপক্ষে ভারতকে চাপে রাখার কৌশল সেটি।

অথচ শান্তি প্রস্তাবে পাকিস্তানের এ নেতিবাচক ভূমিকা সম্পর্কে উদাসীনতা চোখে পড়ছে। পাশাপাশি এ মুহূর্তে রাশিয়া ও ইরানের মতো দেশও আইএসের থেকে বাঁচতে তালেবানের শরণাপন্ন হয়েছে। আর রাশিয়ার সঙ্গে আফগান তালেবানের মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করছে সেই পাকিস্তান।

ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য, এ মুহূর্তে পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশ নিজেদের মতো করে তালেবানের সঙ্গে কথা বলে চলেছে। ফলে সমাধানের বদলে সংকট জটিল হচ্ছে বেশি। আইএস ও তালেবানকে পৃথকভাবে দেখার এই পশ্চিমা ধারণাটিই যে ত্রুটিপূর্ণ, সে কথাও ইইউর বিশেষ দূতকে জানিয়েছে সাউথ ব্লক।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
নেসার উদ্দিন ২ মে, ২০১৮, ৩:০৯ পিএম says : 0
উদ্বিগ্ন হয়ে কোন লাভ নেই
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন