আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে পাকিস্তান দূতাবাসে বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) ওই হামলায় এক নিরাপত্তারক্ষী আহত হয়েছেন। ইসলামাবাদের দাবি, রাষ্ট্রদূতকে (মিশন প্রধান) হত্যার উদ্দেশ্যে এই হামলা চালানো হয়েছে। খবর রয়টার্সের।
দূতাবাসে হামলায় কারা জড়িত তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি দল তালেবানের সঙ্গে দুই দেশের সীমান্তে উত্তেজনা নিরসনের লক্ষ্যে বৈঠকের কয়েকদিন পর এই হামলার ঘটনা ঘটল।
কাবুল পুলিশের একজন মুখপাত্র বলেন, দূতাবাস প্রাঙ্গণকে লক্ষ্য করে খুব কাছাকাছি একটি ভবন থেকে হামলা চালানো হয়। পুলিশ সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেফতার এবং দুটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, রাষ্ট্রদূত উবায়দুর-রহমান নিজামনিকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়েছে। নিজামনি অক্ষত আছেন। তবে রাষ্ট্রদূতকে রক্ষা করতে গিয়ে নিরাপত্তারক্ষী ইসরার মোহাম্মদ গুরুতর আহত হন।
নিজামনি গত মাসে কাবুল দূতাবাসে যোগ দেন। ২০২১ সালের আগস্টে তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর কাবুলে যে কয়টি দেশের দূতাবাস চালু রয়েছে পাকিস্তোনের দূতাবাস তার মধ্যে অ্যনতম।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এ হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। এক টুইটাবার্তায় তিনি এই হামলাকে ‘হত্যাচেষ্টা’ বলে অভিহিত করেন। তিনি দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন