সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের ঘোষণা প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশের জন্য বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময় বেধে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। এর মধ্যে দাবি মানা না হলে রোববার থেকে ফের আন্দালন শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন।
বুধবার কোটা সংস্কারের দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে এ ঘোষণা দেন তিনি। আজ বেলা ১১টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকায় বিক্ষোভ শেষে টিএসসি এলাকায় এই কর্মসূচিতে হাজারো শিক্ষার্থী অংশ নেন।
বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ব্যানারে 'জয় বাংলা', 'জয় বঙ্গবন্ধু', স্লোগান দিয়ে তারা টিএসসি এলাকার রাস্তা বন্ধ করে কর্মসূচি পালন করেন।
পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক রাশেদ খান বলেন, ‘ছাত্র সমাজের সঙ্গে চক্রান্ত শুরু হয়েছে। আমরা বলে দিতে চাই, ছাত্র সমাজ কোনো চক্রান্ত মেনে নেবে না। আপনি (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) অতি দ্রুত প্রজ্ঞাপন জারি করে ছাত্র সমাজকে শান্ত করুন। তারা এখন ক্ষুব্ধ। নতুবা তারা আবার রাজপথে নেমে আসবে। আমাদের আন্দোলন সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ ও অহিংস। সামনে যে আন্দোলন চলবে সেটিও শান্তিপূর্ণ হবে। আমরা বঙ্গবন্ধুর অহিংস আন্দোলনের চেতনায় বিশ্বাসী।’
গত সোমবার (৭ মে) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম জানিয়েছিলেন, সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল বা সংস্কারের বিষয়ে কোনো অগ্রগতি নেই।
তার এ বক্তব্যের পর মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে কর্মসূচি ঘোষণা করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতারা।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন শিক্ষার্থীরা। এরইমধ্যে প্রধানমন্ত্রী সংসদে কোটা বাতিলের ঘোষণা দিয়েছেন। আন্দোলনের এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে বসে আন্দোলনকারীরা ৭ মে পর্যন্ত সময় নিয়েছিলেন। কিন্তু কোটা বাতিল বা সংস্কারের সরকারি প্রজ্ঞাপন না হওয়ায় আবারো আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন