সরকারি চাকরিতে কোটাপ্রথার বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সব ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করে বিক্ষোভ করেছেন।
রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে ক্যাম্পাসে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের এসে শেষ হয়।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জাবি শাখা সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক শাকিল অতিদ্রুত কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারির দাবি জানান।
বিক্ষোভ মিছিলে বিভিন্ন বিভাগের প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
সরকারি চাকরিতে কোটাপ্রথার বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও কয়েক হাজার শিক্ষার্থী বিক্ষোভ করেছেন।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্লাটফর্ম সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ডাকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও ঢাকার বিভিন্ন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও আন্দোলনে শামিল হয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ৮ এপ্রিল থেকে চার দিন ধরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের প্রায় সব পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করেন।
পর দিন সচিবালয়ে দেড় ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বৈঠক করেন আন্দোলনকারীরা।
বৈঠক শেষে মন্ত্রী বলেন, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে তাদের অত্যন্ত সুন্দর আলোচনা হয়েছে। আমরা তাদের বলেছি- আগামী ৭ মের মধ্যে সরকার বিদ্যমান কোটার বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে। সেই পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত থাকবে।
এ সময় সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনও ৭ মে পর্যন্ত তাদের কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দেন।
এ ঘোষণার পর ৯ এপ্রিল রাতে আন্দোলন স্থগিত হয়ে যায়। তবে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর এক বক্তব্য কেন্দ্র করে ১০ এপ্রিল থেকে ফের আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। তারা কোটা সংস্কারের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে সিদ্ধান্ত আসার দাবি জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন