ইনকিলাব ডেস্ক : দখলদার শক্তির বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের স্বদেশ রক্ষার আন্দোলনে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেপ এরদোগান তার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, হামাস কোনো সন্ত্রাসী সংগঠন নয়। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে উদ্দেশ্য কর মঙ্গলবার এরদোগান তার অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্টে এ কথা লিখেন। টুইটারে এরদোগান লিখেছেন, ‘নেতানিয়াহু আপনাকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি: হামাস কোনো সন্ত্রাসী সংগঠন নয় এবং ফিলিস্তিনিরা সন্ত্রাসী নয়। এটি একটি প্রতিরোধ আন্দোলন। এটি দখলদার শক্তির বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের স্বদেশ রক্ষার আন্দোলন।’ তিনি বলেন, ‘বিশ্ব স¤প্রদায় ফিলিস্তিনি জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রকাশের পাশাপাশি তাদের অত্যাচারকারীদের বিরুদ্ধে আজ একতাবদ্ধ।’ অপরদিকে ইসরাইলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে মুসলিম বিশ্বের প্রতি আহŸান জানিয়েছেন তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম। ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার সীমান্তে ইহুদিবাদী সেনাদের হাতে ৬০ ফিলিস্তিনি শহীদ হওয়ার পর তুর্কি প্রধানমন্ত্রী এ আহŸান জানালেন। তিনি পার্লামেন্টে ক্ষমতাসীন দল জাস্টিস অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট পার্টির সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, আঙ্কারা ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা বা ওআইসি’র বিশেষ শীর্ষ সম্মেলন ডাকবে। তিনি বলেন, ‘মুসলিম দেশগুলোর উচিত- কোনো ব্যর্থতা ছাড়াই ইহুদিবাদী ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক পর্যালোচনা করা। এই গণহত্যার বিরুদ্ধে মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধভাবে ও সমস্বরে এগুতে হবে।’ প্যালেস্টাইনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সোমবারের বিক্ষোভে ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে কমপক্ষে ৬২ জন ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন। দেশটির ইতিহাসে এক দিনে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা এটি। গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বাহিনীর এই হত্যাকাÐের পর ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীকে অভিযুক্ত করে তিনি বলেছিলেন, তার (নেতানিয়াহু) হাতে ফিলিস্তিনিদের রক্ত লেগে আছে।’ সোমবার লন্ডনে তুর্কি ছাত্রদের এক অনুষ্ঠানে দেয়া ভাষনে এরদোগান বলেছিলেন, ‘ইসরাইল একটি প্রতিহিংসাপরায়ণ সন্ত্রাসী রাষ্ট্র। ইসরাইল আজ যা করেছে তা একটি গণহত্যা। আমি এই মানবিক নাটক, গণহত্যা- ইসরাইল বা আমেরিকার যে পক্ষ থেকেই আসুক না কেন এর নিন্দা করি।’ এরদোগান আরো বলেছিলেন, ‘আমরা আজকের দিনটিতে মুসলিম বিশ্বের জেরুজালেম হারানোর অনুমতি দেব না।’ গাজার গণহত্যাকে মানবিক ট্র্যাজেডি উল্লেখ করে তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে ফিলিস্তিনি জনগণের পাশে থাকার প্রতিশ্রæতির কথা পুর্নব্যক্ত করেন। গত সপ্তাহব্যাপী চলা ‘রিটার্ন মার্চ’ বা নিজ ভূমিতে ফেরার দাবিতে বিক্ষোভ করে আসছেন ফিলিস্তিনিরা। সোমবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জেরুজালেমে তার নতুন দূতাবাস উদ্বোধন করলে তারা তীব্র বিক্ষোভ দেখান। ইসরাইলি হত্যাযজ্ঞে নিহত ৬০ মধ্যে বেশ কয়েকজন শিশু-কিশোরও রয়েছে। এছাড়াও, আহত হয়েছেন দু হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। আনাদুলো এজেন্সি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন