ইনকিলাব ডেস্ক : তুরস্কের ক্ষমতাসীন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টিকে (একেপি) দুর্বল করতে বিদেশি শক্তিগুলো উঠেপড়ে লেগেছে বলে অভিযোগ করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেপ এরদোগান। জার্মানিতে তুরস্কের বিরোধীদলকে সমাবেশের অনুমতি ও ফরাসি ম্যাগাজিনে এরদোগানকে ‘একনায়ক’ হিসেবে উপস্থাপন করার প্রেক্ষিতে এরদোগান এই অভিযোগ করেন। সোমবার পশ্চিমাঞ্চলীয় ‘ম্যানিনা’ প্রদেশে এক জনসভায় ফ্রান্স ও জার্মানিকে উদ্দেশ্য করে এরদোগান বলেন, ‘আপনারা আমাদেরকে পরাজিত করতে পারবেন না। আপনারা আমাদের মধ্যে কোনও দূরত্বও তৈরি করতে পারবেন না। আমি আল্লাহর রহমতে আমার জনগণকে ভালোবাসি এবং আমার জনগণও আল্লাহর রহমতে আমাকে ভালোবাসে।’ ২৬ মে জার্মানির শহরে কোলনে তুর্কি ডেমোক্রেটিক পার্টিকে (এইচডিপি) সমাবেশ করতে দেয়ার অনুমতি দেয়ায় জার্মান কর্তৃপক্ষের ‘দ্বিমুখী নীতি’র কঠোর সমালোচনা করে তুর্কি সরকার। জার্মানির আইন অনুযায়ী, দেশটিতে যে কোনো ধরনের র্যালি বা সমাবেশের জন্য দেশটির কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অন্তত তিন মাস আগে অনুমতি নিতে বিদেশি রাজনীতিবিদরা বাধ্য। কিন্তু এইচডিপি’র জন্য এ ধরনের কোনো বাধ্যবাধকতা ছিল না। অন্যদিকে, একে পার্টির রাজনীতিবিদদের সেখানে প্রচারণা চালাতে একাধিকবার বাধা দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। তুর্কি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জার্মানির এই পদক্ষেপকে ‘ভÐামি’ হিসেবে অভিহিত করেছে। এতে বলা হয়, এইচডিপি’র সমাবেশে জন্য জার্মানির অনুমতি গণতান্ত্রিক কর্ম হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া যায় না। এছাড়াও, এরদোগান ফরাসি ম্যাগাজিন ‘লে পয়েন্ট’ এ তাকে ‘একনায়ক’ হিসেবে উপস্থাপন করারও তীব্র সমালোচনা করেন। স¤প্রতি ম্যাগাজিনটির কভার পেজে এরদোগানের বিশাল ছবির ওপর শিরোনামে বলা হয়, ‘দ্য ডিকটেটর : হাউ ফার উইল এরদোগান গো?’ বা ‘একনায়ক : এরদোগান আর কত দূর যাবে?’ এরদোগান বলেন, ‘তারা (ফরাসি সরকার) সন্ত্রাসীদের পুলিশি পাহারায় সমাবেশ করার অনুমতি দিচ্ছে। অন্যদিকে, আমাদের শুভাকাক্সক্ষীদের প্রতিটি পদক্ষেপকে বাধা দিচ্ছে। আমাদের বিরুদ্ধে লেখা পোস্টারগুলোকে তারা পুলিশ দিয়ে রক্ষা করছে।’ তিনি বলেন, ‘আমার জনগণের সঙ্গে আমার বন্ধন রয়েছে। আপনারা এধরনের পোস্টার সাঁটিয়ে যা ইচ্ছে বলতে পারেন, কিন্তু আমরা এর পরোয়া করি না।’ হুরিয়াত ডেইলি নিউজ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন