বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

এরদোগানের নেতৃত্বে তুরস্কে ইসলামের বিজয় আসবে -আলহাজ হাফিয সাব্বির আহমদ

লন্ডন সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩০ জুন, ২০১৮, ৬:৫৮ পিএম

যুক্তরাজ্যের বার্মিংহামে অবস্থিত বৃহৎ ইসলামি মারকায সিরাজাম মুনিরা জামে মসজিদ ও অ্যাডুকেশন সেন্টারের পরিচালক ও খতিব আলহাজ হাফিয সাব্বির আহমদ বলেনÑ তুরস্ক ছিল মুসলিম খেলাফতের অধীন রাষ্ট্র। ইসলামি তাহযিব-তামাদ্দুনের প্রাণকেন্দ্র। খেলাফতি শাসন অস্তমিত হলে সেখানে সেক্যুলারিজম প্রতিষ্ঠা পায়। সেদেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিসেফ তাইয়েফ এরদোয়ান আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। তার এ বিজয় ইসলামের পক্ষের শক্তির বিজয়। তার নেতৃত্বে তুরস্কে ইসলামের বিজয় আসবে। তিনিই এখন মুসলিম বিশ্বের পরাক্রমশালী নেতা। একজন তরীকত ও হানাফী মাযহাবপন্থী মুসলমান। এরদোগানের বিজয় মুসলমানদের মধ্যে আশা জাগিয়েছে। পৃথিবীর দিকে দিকে মুসলমানরা যখন মার খাচ্ছে, নির্যাতিত হচ্ছে তখন একমাত্র এরদোগানই সিংহ শার্দূলের মতো প্রতিবাদী হচ্ছেন; সহযোগিতার হাত বাড়াচ্ছেন। তিনি আরো বলেন, তুরস্ককে সেক্যুলার রাষ্ট্রে পরিণত করার পর মসজিদে মাইকে আযান দেওয়া, আরবী বর্ণমালার ব্যবহার ও মেয়েদের হিজাব পড়াকে নিষিদ্ধ করা হয়। রাষ্ট্রের স্থরে স্থরে ইসলামি বিধানের বিপরীতে কুফরি বিধান জারি হয়। এ অবস্থা থেকে এরদোগান তুরস্ককে মুক্ত করেন। জনগণের ভালবাসা অর্জন করেন। আল্লাহ এরদোগানকে মুসলমানদের পক্ষের মুক্তকণ্ঠ হিসেবে কবুল করুন।
গত জুমাবার যুক্তরাজ্যের বার্মিংহামে অবস্থিত সিরাজাম মুনিরা জামে মসজিদে জুমার ভাষণে তিনি একথাগুলো বলেন। জুমার পরে মুসল্লিদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন সিরাজাম মুনিরা অ্যাডুকেশন সেন্টারের প্রিন্সিপাল আল্লামা শায়েখ ফাদি জোব্বাহ সিরিয়া।
তিনি বলেনÑ মুসলমানদের মধ্যে একদল কুরআন হাদিস সম্পর্কে না জেনে সমাজে বিভ্রান্তি ও ফিতনা ছড়াচ্ছেন। তারা এখন ফেইসবুক, ওয়াটসআপমুখী হয়ে পড়েছেন। ইন্টারনেটের সুবাধে গুগল সার্চ করে তারা জাল (বানোয়াট) হাদিস গ্রহণ করছেন ও হাদিসের ভুল ব্যাখ্যা পাচ্ছেন। এদের অধিকাংশই কোন শায়খ বা ইসলামি পণ্ডিতের কাছে যায় না। তাদের কাছ থেকে শিক্ষা না নিয়ে তারা গুগলকে মুফতি নিয়েছে। গুগল ঘেঁটে স্পর্শকাতর বিষয়ে বক্তব্য দিচ্ছে। এটা তাদেরকে গুমরাহির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। অথচ আল্লাহ কুরআন শরীফে বলেছেনÑ যারা জানে না এবং যারা জানে তারা সমান নয়। আমাদের দায়িত্ব হবে আল্লাহ ও তার রাসূলের সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য প্রথমে জানার নিয়ত করা ও পরিবার-পরিজন ভাইবোনদেরকে জানানো। জাননেওয়ালা লোকদের থেকে ইসলামি শরীয়তের বিধিবিধান জেনে নিতে হবে। নিজেদের অন্তর ও ধ্যানধারণাকে আল্লাহমুখী করতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আলহাজ কাজী মো. নানু মিয়া, আলহাজ মো. আব্দুল মালিক, ইমাম ক্বারী আহমদ আলী, ডা. হাজী আব্দুল হান্নান, আলহাজ আমীরুল হক, মো. হান্নান মিয়া, হাজী বাদশা মিয়া, ও হাফিয রুহুল আমিন প্রমুখ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Md. Yousuf ৯ জুলাই, ২০১৮, ৬:৪৭ পিএম says : 0
আল্লাহ এরদোগানকে মুসলমানদের পক্ষের মুক্তকণ্ঠ হিসেবে কবুল করুন।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন