শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইসলামী বিশ্ব

জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত

এরদোগানের জয়ে আনন্দিত তুরস্কে অবস্থানকারী শরণার্থীরা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩০ জুন, ২০১৮, ১২:০২ এএম

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেপ এরদোগান ও তার নির্বাচনি জোটের প্রধান শরিক দল বিতর্কিত জরুরি আইন প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। নতুন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে তুরস্কের জনগণ। ২০১৬ সালে ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের জের ধরে তুরস্কে জরুরি আইন জারি করা হয়েছিল, যার মেয়াদ পরবর্তীতে কয়েক দফা বাড়ানো হয়। এ আইনের সর্বশেষ মেয়াদ আগামী মাসে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। তিন মাসব্যাপী চলতি জরুরি অবস্থার মেয়াদ জুলাইতে শেষ হওয়ার পর তা আর নবায়ন না করতে সম্মত হয়েছেন এরদোগান ও এমএইচপি নেতা দেভলেত বাহচেলি। বুধবার এক বৈঠকে দুই নেতা এ সিদ্ধান্ত নেন। প্রেসিডেন্ট এরদোগান এমএইচপি দলকে মন্ত্রিসভায় স্থান দিতে পারেন বলে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে। গত ২৪ জুন তুরস্কে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট ও সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হন রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান ও তার দল একেপি। এ নির্বাচনের আগে দলীয় প্রচারণায় জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের প্রতিশ্রæতি দিয়েছিলেন এরদোগান। অপরদিকে এরদোগানের জয়ে আনন্দিত হয়েছে তুরস্কে অবস্থানকারী শরণার্থীরা। দেশটিতে আশ্রয় নেওয়া প্রায় ৩৯ লাখ শরণার্থী জানতেন, এই নির্বাচনের ফলাফলের প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়বে তাদের ওপর। অনেকের মতে, শরণার্থীদের জন্য এরদোগানের ক্ষমতায় আসা জরুরি ছিল। অন্য কেউ নির্বাচনে জয়লাভ করলে দেশটিতে থাকা কঠিন হয়ে পড়তো তাদের। ইউরোপ ও এশিয়ার মধ্যবর্তী দেশ তুরস্কে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক শরণার্থীর বসবাস। পাশেই যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া ও ইরাক থেকে লাখ লাখ মানুষ দেশটিতে আশ্রয় নিয়েছে। সিরীয়, ইরাকি, আফগান কিংবা মিসরীয় সব শরণার্থীরাই জানতো তাদের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে এই ফলাফলের ওপর। এরদোগানের জয়ে খুশি অনেক শরণার্থী। স্বাগতই জানাচ্ছেন তাকে। ইরাকি শরণার্থী মোহাম্মদ হামদান বলেন, আমি এরদোগানকে সমর্থন করি। কারণ, তিনি ইসলামিক দেশগুলোকে ভাইয়ের মতোই দেখে। আমি আমার দেশে যুদ্ধ দেখেছি। আশ্রয় নেওয়ার জন্য আমার কাছে তুরস্কের চেয়ে ভালো স্থান ছিল না।’ মিসরীয় এক শরণার্থী বলেন, ‘আমি ও আমার স্ত্রী এরদোগানকে সমর্থন দিয়েছি। যেকোনো মিসরীয় শরণার্থী তাই করবে। তিনি আমাদের নাগরিকত্ব দিয়েছেন। সিসির কাছ থেকে পালিয়ে আসার পর তুরস্কেই শুধুমাত্র আমাদের আশ্রয় দিয়েছে এবং কাজ করার অধিকার দিয়েছে।’ ডেইলি সাবাহ, মিডলইস্ট আই।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন