মৌলভীবাজারের ছয় উপজেলার ১৯টি সিলিকা বালুমহালের ইজারা অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। রায়ে পরিবেশ ছাড়পত্র ও পরিবেশগত প্রভাব নিরূপণ না করে কোনো বালুমহাল ইজারা দেয়া যাবে না মর্মেও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ গত মঙ্গলবার এই নির্দেশনাসহ রায় ঘোষণা করেন। আদালতে বেলার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তাকে সহায়তা করেন আইনজীবী সাঈদ আহমেদ কবীর।
আইনজীবী সাঈদ আহমেদ কবীর সাংবাদিকদের জানান, ওই ১৯টি বালুমহাল থেকে যান্ত্রিক ও অযান্ত্রিক পদ্ধতিতে বালু অনিয়ন্ত্রিতভাবে উত্তোলন করা হচ্ছিল। ফলে ওখানকার পরিবেশ ও জীববৈচিত্য হুমকির মুখে পড়েছিল। যে কারণে বেলা রিটটি করে। তিনি জানান, ২০১৩ সালের ১৮ জুন মৌলভীবাজার জেলার ৫১টি পাহাড়ি ছড়া সিলিকা বালুসমৃদ্ধ এলাকা হিসেবে ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এর মধ্যে ১৯টিকে অযান্ত্রিক পদ্ধতিতে বালু উত্তোলনের জন্য ইজারা দেয়া হয়। তবে, ইজারা দেয়ার আগে কোনো পরিবেশগত প্রভাব নিরূপণ করা হয়নি। ইজারাগ্রহীতা কোনো পরিবেশগত ছাড়পত্র দাখিল করেনি। অথচ খনিজ সম্পদ উন্নয়ন ব্যুরো সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধি-বিধান যথাযথভাবে অনুসরণ না করে সিলিকা বালুসমৃদ্ধ ওই এলাকা ইজারা দেয়া হয়। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে পরিবেশগত সমীক্ষা ছাড়াই মৌলভীবাজারের ছয়টি উপজেলায় রাবার ও চা-বাগানের ১৯টি পানির ছড়া থেকে অপরিকল্পিতভাবে বালু উত্তোলন এবং ইজারা প্রদান কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে ২০১৬ সালের ৮ মার্চ জনস্বার্থে রিট করে বেলা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন