বিভিন্ন জেলার বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৪৩ জন শিক্ষিককে এমপিও প্রদান করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন বলে জানিয়েছে রিটকারী আইনজীবী। ফলে এ সকল শিক্ষদের এমপিও পাওয়ার পথ সুগম হলো ওই আইনজীবী। আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্যাহ মিয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যার্টনি জেনারেল আল আমিন সরকার।
পরে রিটকারীর মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্যাহ মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, বেসরকারি নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন যাবৎ চাকরি করলেও তারা সরকারি বেতনের অংশ পাচ্ছিলেন না। তাই শিক্ষকগণ এমপিও পাওয়ার জন্য হাইকোর্টের নির্দেশনা চেয়ে পৃথক পৃথক চারটি রিট করেন। শুনানিতে রুল জারি করেন আদালত। রুলের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে আদালত আজ নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের রায় ঘোষণা করেন। তিনি আরও জানান, বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন-ভাতাদির সরকারি অংশ প্রদান ও জনবল কাঠামো সম্পর্কিত নির্দেশিকা অনুযায়ী বেতন প্রদান করে থাকে। নীতিমালা অনুযায়ী এমপিও প্রদানে কোনো প্রতিবন্ধকতা না থাকা স্বত্তে¡ও তাকে এমপিও প্রদান করা হয়নি।
ভুক্তভোগী বিভিন্ন দফতরে যোগাযোগ করেও এমপিও না পেয়ে রিট পিটিশনটি দায়ের করেন তারা। হাইকোর্টে রিটকারীরা হলেন- ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট আর্দশ মহিলা বিদ্যালয়ের প্রভাষক আলী আশরাফ, ধারা আদর্শ ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক আসাদুজ্জামান, বীমপুর হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক আতিকুর রহমান, ময়দানদীঘি দাখিল মাদরাসার সহকারী শিক্ষক তানিয়া সুলতানা করিমুন্নেছা, হাফিজ মহিলা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক আব্দুস সবুর, নোমান মাহমুদ, গোলাম রব্বানী, আতিকা বাসরী, আতিক পারভেজ ও গাজী আসিফ আফসার রিয়েলসহ ৪৩ জন শিক্ষক।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন