ফেনী ০৩ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা হাজী রহিম উল্যাহর গ্রামের বাড়ীতে হামলা চালিয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাংশের কর্মিরা। জানা যায় বুধবার রাতে,
সংসদ সদস্যের বাসভবন সালমা গার্ডেনের প্রধান ফটক ও ঘরে ভাংচুর করে । ঐ সময় সংসদ সদস্য ও তার পরিবারের সদস্যরা ঢাকা ন্যাম ভবনে অবস্থান করছিলেন।
খবর পেয়ে মডেল থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
সাংসদের গ্রামের বাড়ী উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামে। বাড়ীটি সালমা গার্ডেন নামে পরিচিত। ঢাকা থেকে বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ীতে আসেন। ঐ সময়, হাজী রহিম উল্যাহ জানান, ঘটনার সময় ৭/৮টি সিএনজি যোগে ২০/২৫ জনের মুখোশধারী দূর্বৃত্ত তার বাড়ী সামনে এসে অবস্থান করে।এসময় তারা ৪/৫ টি ককটেলের বিস্ফোরন ঘটিয়ে আতংক সৃষ্টি করে বাড়ীর প্রধান ফটকে হামলা চালিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে বসত ;ঘরের ফটকেও ভাংচুর চালায়।তিনি আরো বলেন ,হামলার বিষয়টি পুলিশকে সাথে সাথে অবহিত করা হয়েছে।হামলার জন্য তিনি তার স্বদলীয় প্রতিপক্ষকে দায়ী করেন।
মডেল থানার পরিদর্শক মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন , সাংসদের ফোন পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাড়ীর প্রধান ফটকের গেটে ভাংচুরের চিহ্ন দেখতে পান। তবে এই হামলার সাথে কে বা কারা জড়িত তা বলা যাচ্ছে না। স্থানীয় কয়েক ব্যাক্তি জানিয়েছে,বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিলো।এশার নামাজের সময় কয়েকটি সিএনজি যোগে ১০/১৫ জন ব্যাক্তিকে সাংসদের বাড়ীর দিকে তার যেতে দেখেছে।এর পরপরই কয়েকটি বিস্ফোরনের আওয়াজ শুনা যায়।
উল্লেখ্য যে, সাংসদ রহিম উল্যাহ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্ধিতা করে জয়লাভ করলেও তিনি ২০০৭ সালের বাতিল হওয়া নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনিত মহাজোটের প্রার্থী ছিলেন।উপজেলা আওয়ামীলীগের গত কাউন্সিলে সভাপতি পদে প্রতিদ্ধন্দিতা করে তিনি বর্তমান সভাপতি ফয়েজুল কবিরের কাছে ৫ ভোটে পরাজিত হয়েছেন।সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার পর স্থানীয় আওয়ামীলীগের সাথে তার বিরোধের জেরে বহু হামলা -পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে।বেশ কয়েকবার সাংসদের গাড়ী বহরে হামলা, ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান ও বালু মহালে অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটে।বুধবারের হামলা সেই বিরোধের জের মনে করছে স্থানীয়রা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন