মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

সাতক্ষীরায় শিশু পাচারের অভিযোগে এক নারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

সাতক্ষীরা জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৮ জুলাই, ২০১৮, ৪:৩৭ পিএম

প্রথম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীকে পাচারের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে এক নারীর যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বুধবার (১৮ জুলাই) দুপুরে সাতক্ষীরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হোসনে আরা আক্তার এ রায় ঘোষণা করেন।

সাজাপ্রাপ্ত আসামী মোছা: আফরোজা ও ওরফে তাছলিমা খাতুন সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার পরানপুর গ্রাম বর্তমানে কালিগঞ্জ উপজেলার রতনপুর গ্রামের নূর ইসলামের মেয়ে।

মামলার বিবরণে জানা যায়, শ্যামনগরের পরানপুর গ্রামের এক দিন মজুরের পাঁচ বছরের মেয়ে ৮৬নং পরানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী। ২০০৩ সালের ৬ মার্চ সকাল ৮টার দিকে বাড়ি থেকে স্কুলে যায় সে। স্কুল শেষে সে আর বাড়ি ফেরেনি। সহপাঠী ময়না ও টুম্পার মাধ্যমে পরিবারের সদস্যরা জানতে পারে যে স্কুল শেষে তাকে খালা পরিচয়ে এক নারী মাঠ থেকে ডেকে নিয়ে গেছে। বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যান জিএম আব্দুল করিম মসজিদসহ বিভিন্নভাবে মাইকিং করার ব্যবস্থা করেন। রাত ১০টার দিকে বৈশখালি গ্রামের লোকজন আফরোজাকে আটক করলেও কয়েকজন পালিয়ে যায়। এ সময় উদ্ধার করা হয় ওই শিশুকে। এ ঘটনায় উদ্ধার হওয়া ওই শিশুর দাদা বাদী হয়ে আফরোজা খাতুন, রতনপুর গ্রামের বাবু, বাবলু ও আবু হান্নানের নাম উল্লেখ করে পরদিন শ্যামনগর থানায় একটি পাচারের মামলা দায়ের করেন। ২০০৩ সালের ৩০ জুন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শ্যামনগর থানার উপ-পরিদর্শক ফয়সাল জামান এজাহারভুক্ত আসামীদের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

মামলায় ১০ জন সাক্ষীর জবানবন্দি ও মামলার নথি পর্যালোচনা শেষে আসামী আফরোজা খাতুনের বিরুদ্ধে পাচারের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে উপরোক্ত কারাদন্ডাদেশ দেন। অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর তিন জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। আসামী আফরোজা পলাতক রয়েছেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন বিশেষ পিপি অ্যাড. জহুরুল হায়দার বাবু।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন