প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রাখা স্বর্ণ নিয়ে অনিয়মের খবর যেভাবে প্রকাশিত হয়েছে তা পুরোপুরি সত্য নয়। বাংলাদেশ ব্যাংক ও এনবিআরের মধ্যে যোগাযোগ ঘাটতিতেই এই সঙ্কট সৃষ্টি হয়েছে। তবে বিষয়টিকে ছোট করে দেখছি না। পর্যালোচনা করা হবে। কারো বিরুদ্ধে গাফেলতির প্রমাণ পাওয়া গেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টে রাখা স্বর্ণ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ ওঠার প্রেক্ষাপটে গতকাল সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত জরুরি বৈঠকে অর্থ প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বিদেশে অবস্থান করায় প্রতিমন্ত্রী এই বৈঠক ডাকেন। বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মোঃ ইউনুসুর রহমান, শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. শহিদুল ইসলাম, এনবিআরের সদস্য কালিপদ হালদারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের দেয়া স্বর্ণ জমা রাখার সময় ৪০ শতাংশই ছিল। কিন্তু ইংরেজি-বাংলার হেরফেরে সেটা ৮০ শতাংশ লিখে ভুলবশত নথিভুক্ত করা হয়েছিল। ৮০ এবং ৪০-এ ক্লারিক্যাল মিস্টেক হয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এর ব্যাখ্যা দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ভল্টের জিনিস বাইরে যাওয়ার সম্ভাবনা মোটেও নেই। সেখানে ৬ স্তরের নিরাপত্তা রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরও সিস্টেমের বাইরে ভল্টে যেতে পারেন না। দুই তিন জায়গায় ক্লিয়ারেন্স নিয়ে যেতে হয়। আপনারা নিশ্চিত থাকেন, কিছু বাইরে যায় নাই। যে সামান্য ফরটি/এইটটি, এটা হতে পারে। আমিও মাঝে মাঝে ইংলিশ এইটটি থেকে বাংলা ফরটি লিখতে গেলে গন্ডগোল হয়ে যায়, আপনাদেরও মাঝে মাঝে হতে পারে। তবে আমরা বিষয়টাকে ছোট করে দেখছি না, এটা নিশ্চিত থাকেন।’
তিমি আরো বলেন, তবে সামান্য ফাঁক দিয়েও কিন্তু বড় ঘটনা ঘটে যায়। সুতরাং, আমি আমার কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবো এবং এটাকে আমাদের লেভেলে অথবা অন্য কোন সংস্থাকে দিয়ে আরও অধিক পর্যালোচনা করবো। এতে বাংলাদেশ ব্যাংক ভীত নয়। গভর্নর বলে গেছেন, ‘আপনারা যাকে দিয়ে দেখাবেন দেখান। আমাদের তরফ থেকে কোনো সংশয় নেই, সবকিছু ঠিকই আছে। জনগণের যেটা জানানোর দায়িত্ব, তাদের সম্পদ বাংলাদেশ ব্যাংকে ঠিকই আছে, সঠিক আছে।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন