বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ছাত্রছাত্রীরা উচ্চশিক্ষার জন্য জাপানে পাড়ি জমাচ্ছেন। বাংলাদেশের ছাত্রছাত্রীরাও পাচ্ছেন পড়াশোনার অনেক সুযোগ। এইচএসসি পাসের পর উচ্চশিক্ষার জন্য যারা বিদেশে যেতে আগ্রহী, তারা জাপানকে বেছে নিতে পারেন।
ভর্তির সেশন বা শিক্ষাবর্ষ জাপানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বছরে দুটি সেমিস্টারে শিক্ষার্থীরা ভর্তি হওয়ার সুযোগ পান। সেগুলো হলো- এপ্রিল ১ থেকে সেপ্টেম্বর ৩০ এবং ১ অক্টোবর থেকে ৩১ মার্চ। তবে কিছু প্রতিষ্ঠান ‘ফল সেমিস্টারে’ (সেপ্টেম্বর-অক্টোবর) ভর্তি করে থাকে। যেসব বিষয়ে পড়তে পারেন হিউম্যান স্টাডিজ, ভাষাশিক্ষা, ইতিহাস, মানববিদ্যা, এডুকেশনাল সায়েন্স, ল অ্যান্ড সোসাইটি, পাবলিক
ল অ্যান্ড পলিসি, ট্রান্সন্যাশনাল ল অ্যান্ড পলিসি, অর্থনীতি, ব্যবস্থাপনা, হিসাববিজ্ঞান, গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, জোতিবিদ্যা, ভূ-প্রকৃতিবিদ্যা, রসায়ন, ভূ-বিজ্ঞান, মেকানিক্যাল সিস্টেমস অ্যান্ড ডিজাইন, ন্যানোমেকানিকস, এডুকেশনাল ইনফরমেটিকস, পরিবেশবিদ্যা, এনভায়রনমেন্টাল লাইফ সায়েন্স, ফলিত তথ্যবিজ্ঞান, কম্পিউটার অ্যান্ড ম্যাথমেটিক্যাল সায়েন্স ইত্যাদি।
ব্যাচেলর ডিগ্রির জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য
একাডেমিক
কমপক্ষে ১২ বছরের শিক্ষাগত যোগ্যতা (এইচএসসি বা সমমানের)।
ভাষাগত যোগ্যতা
জাপানি ভাষার ওপর পর্যাপ্ত দক্ষতা থাকতে হবে। কমপক্ষে ছয় মাসের জাপানি ভাষার কোর্স সম্পন্ন হতে হবে।
কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান টোফেল সিবিটি স্কোর ১৫০-এর ওপর অথবা টোফেল আইবিটি স্কোর ৫২-এর ওপর চায়।
অন্যান্য পরীক্ষা
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদেরও জাপানি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য একটি পরীক্ষা দিতে হবে। জাপানি ভাষার দক্ষতার ওপর একটি পরীক্ষা দিতে হবে।
১. আবেদনপত্রের তথ্য ও ফরম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে লিখিতভাবে সরাসরি প্রতিষ্ঠানের অফিসে যোগাযোগ করা যেতে পারে।
২. আপনি চাইলে আবেদনপত্রের ফরমটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারেন।
৩. কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইনে আবেদনপত্র জমা দেয়ার সুবিধা রয়েছে। ভর্তি কর্তৃপক্ষ ডকুমেন্টেশন, ট্রান্সলেশন ও ভিসা সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য আপনাকে জানাবে। প্রয়োজনীয় তথ্য ও ডকুমেন্টেশন সম্পন্ন করার জন্য আপনি কমপক্ষে এক বছর আগে থেকেই খোঁজখবর রাখতে পারেন।
দরকারি কাগজপত্র
১. আবেদনপত্রের ফরমটি সম্পূর্ণভাবে পূরণ করতে হবে।
২. মার্কশিটসহ সব শিক্ষাগত ডকুমেন্টসের ইংরেজি কপি হতে হবে।
৩. স্কুল/কলেজের ছাড়পত্র লাগবে। ৪. আবেদনপত্রের ফি জমা দেয়ার ডকুমেন্ট রাখতে হবে। ৫. টোফেলের পরীক্ষার ফলাফল লাগবে। ৬. আপনার পাসপোর্টের ফটোকপি রাখতে হবে।
ক্রেডিট ট্রান্সফারের সুবিধা
১. আন্ডার-গ্র্যাজুয়েট ও পোস্ট-গ্র্যাজুয়েটের শিক্ষার্থীরা ক্রেডিট ট্রান্সফার করতে পারবেন। ২. সাধারণত কোর্সের ৫০ শতাংশের বেশি ক্রেডিট ট্রান্সফার গ্রহণযোগ্য নয়। ৩. বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয় অন্তত বি গ্রেড পর্যন্ত গ্রহণ করে থাকে।
৪. নিম্নলিখিত তথ্যগুলো সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে দিতে হবে : আপনার আন্ডার-গ্র্যাজুয়েট/পোস্ট-গ্র্যাজুয়েটের
বিশ্ববিদ্যালয়ের ঠিকানা নিচে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটের ঠিকানা উল্লেখ করা হলো :
যঃঃঢ়://িি.িঁ-ঃড়শুড়.ধপ.লঢ়/রহফবী ব.যঃসষ যঃঃঢ়://িি.িশুড়ঃড়-ঁ.ধপ.লঢ়/বহ যঃঃঢ়://িি.িড়ংধশধ-ঁ.ধপ.লঢ়/বহ যঃঃঢ়://িি.িঃরঃবপয.ধপ.লঢ়/বহমষরংয
ষ রবিউল কমল
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন