প্রোগ্রামিং কনটেস্ট, গণিত অলিম্পিয়াড, প্রোজেক্ট শো, গেমিং কনটেস্ট- সব জায়গায় আছেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ে এক নামে সবাই তাকে চিনে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কনটেস্টে তার অংশগ্রহণ থাকা চাই ই চাই। তিনি মো. ফাহিম সিকদার, বিশ্ববিদ্যালয়ের সকলে তাকে ফাহিম নামে ডাকে। পড়ছেন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে, স্নাতক চতুর্থ বর্ষে। বাবা মো. ফারুকুল ইসলাম সিকদার ও মা লাইলী বেগমের অনুপ্রেরণার কথা বলতে ভোলেননি ফাহিম। তার এই অনুপ্রেরণার মূল উৎস তার বাবা-মা, বাবা আর মায়ের অনুপ্রেরণা ছাড়া কোনভাবেই এত দূর আসা সম্ভব ছিল না।
প্রোগ্রামিংয়ে মূলত তার হাতেখড়ি হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে। ২০১২ সালে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) ভর্তি হয়। ভর্তি হবার পর থেকে একের পর এক সাফল্য বয়ে আনছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি হয়ে।
২০১৪ সালে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত “ইন্টারন্যাশনাল কনটেস্ট অন প্রোগ্রামিং সিস্টেম অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট” এ দলীয়ভাবে চ্যাম্পিয়ন হয়। এই পুরস্কার অর্জনে ফাহিমের ভূমিকা ছিল সবচেয়ে বেশি। দলটিতে ছিলেন ফাহিম (দলপতি) উজ্জ্বল পোদ্দার ও অরুন বিশ্বাস। ২০১৫ সালে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ডে প্রথম ২০০ জনের মধ্য ছিলেন ফাহিম সিকদার।
এছাড়াও দলীয়ভাবে তারা তৈরি করেছে বাংলাদেশের প্রথম বুদ্ধিমান ড্রোন যা দুর্যোগের সময় হারিয়ে যাওয়া জলযান, মানুষ শনাক্ত করতে পারে। যার জন্য গত মাসে গোপালগঞ্জে অনুষ্ঠিত ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলায় দলীয়ভাবে “শ্রেষ্ঠ তরুণ উদ্ভাবক” পদকটি পায়। ড্রোনটি তৈরির দলে আরও রয়েছে উজ্জ্বল পোদ্দার, বরুণ মল্লিক ও ফাইজুল ইসলাম।
নিজের জীবনের মজার ঘটনার কথা বলতে গিয়ে হাসতে হাসতে তিনি বলেন, এসএসসির রেজাল্টের পর সব বন্ধুরা মিলে বিজয় মিছিল বের করেছিলাম।
এখন পর্যন্ত তার সিজিপিএ ৩.৭৬ নিয়ে বিভাগে তার স্থান তৃতীয়। তবে অনেক সময় ক্লাস আর পরীক্ষার কারণে বিভিন্ন কনটেস্টে অংশগ্রহণ করতে সমস্যা দেখা দেয়। তাই বলে পড়াশুনা বাদ দিবো!!! মোটেই না। বন্ধুদের সাথে আড্ডা আর ঘোরাঘুরি করতে সবচেয়ে মজা লাগে তার। প্রিয় লেখক আর্থার সি ক্লার্ক। প্রিয় ব্যক্তিত্ব বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এছাড়াও অবসর সময়ে বই পড়তে ভালোবাসেন। কিছু সাফল্যের মধ্যে সব থেকে মনে রাখার মতো ২০১৪ সালে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত “ইন্টারন্যাশনাল কনটেস্ট অন প্রোগ্রামিং সিস্টেম অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট” এ দলীয়ভাবে চ্যাম্পিয়ন হওয়া। শিক্ষাজীবন শেষে স্বপ্ন দেখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়া, গবেষণা করা।
ষ তন্ময় বিশ্বাস
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন