ইউজিসির অভিন্ন শিক্ষক নীতিমালা প্রত্যাখ্যান করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। বুধবার শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় এ সিদ্ধান্তসহ আরো ১১ টি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
জানা যায়, সোমবার বেলা সাড়ে ১২ টায় বিশ^বিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. অলী উল্যাহ এর উপস্থাপনায় সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন প্রফেসর ড. আব্দুল মুঈদ, প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন, প্রফেসর ড. এম এয়াকুব আলী, প্রফেসর ড. আব্দুল লতিফ, প্রফেসর ড. ফারুকুজ্জামান খান, প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন, প্রফেসর ড. আহসান উল্লাহ ফয়সাল, প্রফেসর ড. মতিনুর রহমান প্রমূখ। বিশ^বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিন্ধান্ত গৃহীত হয়। গৃহীত সিন্ধান্তগুলোর মধ্যে বিশ^বিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) কর্তৃক জারীকৃত শিক্ষক নিয়োগ নীতিমালা প্রত্যাখ্যান করেন উপস্থিত শিক্ষকরা। এছাড়াও শিক্ষকদের চাকুরীরত অবস্থায় প্রাপ্ত সুবিধা অবসরকালীন সময়ে কর্তন, সেশন বেনিফিট পুণরায় চালুকরণ, সরকার কর্তৃক ঘোষিত পাঁচ শতাংশ সুদে লোন শিক্ষকদের ক্ষেত্রে চালুকরণ, কল্যাণ তহবিলের সুযোগ বৃদ্ধিকরণ, বিশ^বিদ্যালয়ের ফান্ড থেকে গৃহিত লোনের লভ্যাংশ পাঁচ শতাংশ নির্ধারণ, স্বাস্থ্যবীমার মানোন্নয়ন ও ইসলামী স্বাস্থ্যবীমার সাথে চুক্তিকরণ, শিক্ষকদের জন্য পরিবহন সুবিধা বৃদ্ধিকরণ, সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপক পদের পদোন্নতি ডিউ তারিখ থেকে কার্যকরকরণ, প্রভাষক ও সহাকারী অধ্যাপকদের এম.ফিল ও পিএইচডি ডিগ্রীর জন্য অনর্জিত ইনক্রিমেন্ট পুনর্বহাল বিষয়ে সিন্ধান্ত গৃহীত হয়।
এদিকে প্রগতিশীল শিক্ষকদের একটি অংশ দাবী করেন, শিক্ষক সমিতি কোরাম পুরোন হওয়ার আগেই সভা শুরু করেছেন। এছাড়া সাধারণ সভা আহবান করার ৭২ ঘন্টা আগে চিঠি ইস্যু করতে হয় কিন্ত শিক্ষক সমিতি ২০ ঘন্টা আগে চিঠি ইস্যু করেছেন। তাছাড়া নির্ধারিত সময়ের ১ ঘন্টা ৩০ মিনিট পরে সভা শুরু করে যেটা নিয়মের পরীপন্থি।’
এবিষয়ে ইবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. অলী উল্যাহ বলেন, ‘সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক চাইলেই যেকোন সময় সাধারণ সভা আহবান করতে পারে। শিক্ষক সমিতির নীতমালায় ৭২ ঘন্টা আগে চিঠি ইস্যুর কথা নেই। সাধারণ সভার কোরাম পুরোন না হওয়ায় সভা শুরু হতে দেরি হয়েছে।’
সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান বলেন,‘ সভায় শিক্ষকদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এখানে সরকার বা বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে কোন এজেন্ডা রাখা হয়নি। সভায় দল মত নির্বিশেষে সকলে মত প্রকাশ করেছে কারো কোন অভিযোগ থাকলে তারা আমাদের সরাসরি বলতে পারে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন