স্টাফ রিপোর্টার : শিল্পীদের হাজারো রকমের ভক্ত থাকে। শিল্পীরাও তা জানেন। ভক্তদের পাগলামিও তাদের মুখ বুঝে সইতে হয়। মেনেও নেন। কারণ ভক্তের ভালবাসাই তাকে টিকিয়ে রেখেছে। জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী জেমসের ভক্তের অভাব নেই। সব ভক্তকে সমানভাবে শ্রদ্ধাও করেন। তবে এমন তার এমন কিছু ভক্ত রয়েছে, যা তাকে আপ্লুত করে। কোনো কোনো ভক্তের ভালবাসা এতটাই ছাড়িয়ে যায় যে সে ভালবাসার মূল্য তাকে দিতে হয়। কিশোরগঞ্জের প্রিন্স মোহাম্মদ জেমসের এমনই এক ভক্ত। তার পাগলামি জেমস এড়িয়ে যেতে পারেন না। প্রিন্স তাকে গুরু বলে সম্বোধন করেন। গত বছর জেমসের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানাতে ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় ১০টি বিলবোর্ড টাঙিয়ে প্রিন্স জেমসকে চমকে দেন। ২০০০ সাল থেকেই প্রতি বছর জেমসের জন্মদিনে প্রিন্স ভিন্ন রকম কিছু করেন। জেমসও তার এই পাগলামিকে প্রশ্রয় দেন। জেমসের প্রতি তার ভালবাসার শুরু ২০০০ সাল থেকে। এরপর প্রতি বছরই জেমসের জন্মদিনে বন্ধুদের নিয়ে কেক কাটেন। সারাদিন জেমসের গান শুনে কাটান। ২০০২ সালে কিশোরগঞ্জে হোসেনপুর উপজেলা সদরের একটি রাস্তার নামকরণও করে ফেলেন প্রিন্স। নাম দেন জেমস রোড। তার এই অকৃত্রিম ভালোবাসর মূল্য দিতে এবার ২ বৈশাখ হোসেনপুর গিয়েছিলেন জেমস। পাগল ভক্তের টানে বৃষ্টি উপেক্ষা করে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলায় হাজার হাজার মানুষকে গান গেয়ে মাতিয়ে আসেন তিনি। আগেই ঠিক করে রেখেছিলেন প্রিন্সের ডাকে সাড়া দিয়ে বৈশাখের দ্বিতীয় দিনেই হোসেনপুরে গাইতে যাবেন জেমস। ভক্তকে দেয়া কথা মতই ১৫ এপ্রিল বিকালে গাইতে হোসেনপুর যান তিনি। শুরু হয় তুমুল বৃষ্টি। বৃষ্টি উপেক্ষা করেই উপস্থিত হাজার হাজার তার শ্রোতাকে গান শুনিয়ে মাতিয়ে তোলেন। সেখানে ঢেকিয়া খেলার মাঠে এই কনসার্টের আয়োজন করা হয়। সকাল থেকেই জেমস আসবেন বলে দূরদূরান্ত থেকে লোকজন এসে জড়ো হতে থাকে ঢেকিয়া মাঠে। ময়মনসিং, কিশোরগঞ্জ, গফরগাঁও, নেত্রকোনাসহ বৃহত্তর ময়মনসিংহের অসংখ্য মানুষ এসে জড়ো হয় এই মাঠে। দুপুরের সময়ই মাঠে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। জেমস মঞ্চে উঠেন বিকেল সোয়া চারটার দিকে। কনসার্টে তিনি একে একে গাইতে থাকেনÑপাগলা হাওয়া, বিজলি, গুরু ঘর বানাইলা কি দিয়ার মত জনপ্রিয় ৬টি গান। ভক্তের ইচ্ছা পূরণ করে তবে তিনি ঢাকা ফিরে আসেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন