শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

লাইফস্টাইল

মেয়েদের একটি ক্যানসার

ফেরদৌসী রহমান | প্রকাশের সময় : ২৮ জুলাই, ২০১৮, ৮:০৫ পিএম

সারভাইক্যাল অথবা জরায়ু মুখ ক্যানসার মেয়েদের ক্ষেত্রে মারণরোগ হয়ে দেখা দিচ্ছে ৷ তবে অনেকেই এখনও এই রোগ সম্পর্কে জানেন না৷ কী এই সারভাইক্যাল ক্যানসার? কেন এই রোগেই সংক্রমণ হয়? কী এর প্রতিকার? জেনে নিন তাহলে। 

সারভাইক্যাল ক্যানসারের কারণ
জরায়ুর মুখ যেখান থেকে শিশু জন্ম নেয় তাকে ইংরাজীতে সারভিকস্ বলে৷ এই অংশে ক্যানসার হলে তাকে সারভাইক্যাল ক্যানসার বলে৷ জরায়ুর এই অংশে বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তনের ফলে ক্যানসার হতে পারে৷ এছাড়াও সহবাসের সময় যদি কোনভাবে এই অংশে আঘাত লেগে ক্ষতের সৃষ্টি হয় এবং এই ক্ষত দীর্ঘদিন ধরে বাড়তে থাকে তবেও সারভাইক্যাল কানসার হতে পারে৷ এই রোগের অপর এক কারণ জীবাণু যার নাম হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস৷ চিকিৎসকেরা সংক্ষেপে একে এইচপিভি বলে থাকেন৷ এটি জরায়ুতে বাসা বাঁধলে সারভাইক্যাল ক্যানসার হতে পারে৷এই জীবাণু আক্রমণের প্রধান কারণ হেলথ হাইজিনের অভাব৷ কেউ যদি একাধিক পুরুষের সঙ্গে সহবাস করেন তবেও এই রোগ হতে পারে৷ অনেকক্ষেত্রে দেখা যায় সেক্স পার্টনার্সদের মধ্যে কেউ যদি এইচপিভি ক্যারিয়ার হন তবে তার থেকে অপরজনের এই সংক্রমন হতে পারে৷ যদিও, এইচপিভি সংক্রমণ মানেই যে সারভাইক্যাল ক্যানসার তা কিন্তু একেবারেই নয়৷
সারভাইক্যাল ক্যানসারের লক্ষণ
কয়েকটি নির্দিষ্ট বিষয় এই রোগের মূল উপসর্গ৷ অতিরিক্ত সাদা স্রাব, দুর্গন্ধযুক্ত স্রাব, সহবাসের পর রক্তপাত, মনোপজের পরেও রক্তপাত, সারভিকসের গোড়ায় ব্যাথা ইত্যাদি৷ এছাড়াও অনেক সময় দেখা গিয়েছে রোগীর কিডনি অকোজে হয়ে যাওয়ার পিছনেও সারভাইক্যাল ক্যানসারের ভূমিকা রয়েছে৷ তাই এই কারণগুলি যদি দেখা যায় তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত৷
সারভাইক্যাল ক্যানসারের প্রতিকার
সারভাইক্যাল ক্যানসারের প্রতিষেধক বাজারে রয়েছে যার নাম এইচপিভি ভ্যাকসিন৷ যদিও এটি অত্যন্ত খরচ সাপেক্ষ৷ আবার দেখা গিয়েছে অনেকক্ষেত্রে এই ভ্যাকসিন ঠিক ভাবে কাজ করে না৷ এই রোগ প্রতিরোধের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য মাধ্যম হল স্বাস্থ্য সচেতনতা এবং পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা৷ প্রাথমিক অবস্থায় অনেকসময় সার্জারি করা হয় বা রেডিওথেরাপি করা হয়ে থাকে৷ পরবর্তী পর্যায়ে রেডিওথেরাপি ও কেমোথেরাপি দেওয়া হয়ে থাকে৷ একেবারেই যদি দেরি হয়ে যায় তখন আর সেইভাবে কিছু করার থাকে না তখন রোগীর সাইন অ্যান্ড সিম্পটম অনুযায়ী চিকিৎসা করা হয়৷ তবে বর্তমানে চিকিৎসাবিজ্ঞান এতটাই উন্নত হয়েছে যে সারভাইক্যাল ক্যানসার যদি প্রথমধাপেই ধরা পরে তবে রেডিওথেরাপির মাধ্যমে এটিকে সম্পূর্ণ ভাবে সারিয়ে তোলা সম্ভব৷

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
শ্যাম সুন্দর ১৭ মে, ২০২০, ৯:৪৭ পিএম says : 0
সার। সাদা স্রাব অতিরিক্ত পেটে বেথা খেতে না পারা বমি হওয়া এটা কি ক্যানসার
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন