ক্যান্সারে আক্রান্ত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০ বছরের দন্ডপ্রাপ্ত নোয়াখালীর সুধারামের আব্দুল কুদ্দুসকে কারাগার থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে ওই হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট বিভাগের চিকিৎসকদের আব্দুল কুদ্দুসের অসুস্থতা নিয়ে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। ওই দিন তার জামিন বিষয়ে আদেশ দেবেন আপিল বিভাগ। গতকাল রোববার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে কুদ্দুসের জামিনের পক্ষে শুনানি করেন খন্দকার মাহবুব হোসেন, সঙ্গে ছিলেন তাজুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আদেশের আগে অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতকে বলেন, আমি আইজি প্রিজন্সের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি বলেছেন, আব্দুল কুদ্দুস ক্যান্সারে আক্রান্ত ঠিক। তবে তার অবস্থা ততটা গুরুতর নয়। তিনি কথা বলতে পারছেন। জামিনের বিরোধীতা করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যার্টনি জেনারেল বলেন, আমরা অসুস্থতার বিষয়ে মেডিকেল প্রতিবেদন চাই। এ পর্যায়ে আদালত বলেন, ফোর স্টেজের ক্যান্সার হলে তো উনি মারা যাবেন। পরে আদালত উপরোক্ত আদেশ দেন। দন্ডপ্রাপ্ত এই প্রথম কোনো আসামির জামিন আবেদন করা হয়েছে আপিল বিভাগে। তাজুল ইসলাম জানান, এর আগে এই আসামির আপিল আবেদন করা হয়। আপিলের সঙ্গে তার জামিন আবেদনও করা হয়। কিন্তু এর আগে আর কোনো আসামির জামিন আবেদন করা হয়নি। এই প্রথম মানবতাবিরোধী অপরাধের দন্ডপ্রাপ্ত কোনো আসামির মামলায় আপিল বিভাগে জামিন চাওয়া হয়েছে।
গত ১৩ মার্চ এই মামলায় তিনজনকে মৃত্যুদন্ড এবং একজনকে ২০ বছরের কারাদন্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এদের মধ্যে আমির আলী, মোঃ জয়নাল আবদিন ও আবুল কালাম ওরফে এ কে এম মনসুরের মৃত্যুদন্ডর রায় হয়েছে। একই মামলায় অপর আসামি মোঃ আব্দুল কুদ্দুসের হয়েছে ২০ বছরের কারাদন্ড।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন