উত্তর ঃ ঝড়-বজ্রবৃষ্টিতে ভীত না হয়ে এর মধ্যে যে কল্যাণ রয়েছে তার তারিফ করুন আল্লাহ রাব্বুল আলমিনের কাছে এর অনিষ্টের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে সাহায্য প্রার্থণা করুন । সাবধানতা অবলম্বন করুন। বজ্রপাতে কিছু মানুষ মারা যায়। সাবধানতা অবলম্বন করলে এই মৃত্যু থেকে নিজেকে রক্ষা করা যায়। যিনি পৃথিবীর সব কিছু সৃষ্টি করেছেন, তিনি সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক আল্লাহ। ‘ আসমান এবং জমিনে যা কিছু আছে, সব কিছুর মালিক আল্লাহ রাব্বুল আল মিন। বজ্রপাত না হলে এই পৃথিবীর মাটি উর্বর থাকতো না। ফসল উৎপাদনের উপাদান প্রাকৃতিকভাবে জমিনে পাওয়া যেত না। বৃষ্টি না হলে মাটি সিক্ত হয়ে চাষ যোগ্য হত না। বৈশাখের অত্যন্ত গরমে জীবন যখন ওষ্ঠাগত সেই সময় স্বস্তির ঠান্ডা পরশ পাওয়া যেত না। বাতাসে রয়েছে অক্সিজেন, নাট্রোজেন, হাইড্রোজেন এবং অন্যান্য বায়বীয় পদার্থ । স্থল মানুষের এবং জল-ও স্থলের জীবের বেঁচে থাকার জন্য অক্সিজেন অপরিহার্য পানিতে থাকা মাছের জন্য অক্সিজেন প্রয়োজন। মাছ মাঝে মাঝে উপরে ভেসে উঠে চোয়ালের নিচের তলিতে অক্সিজেন নিয়ে আবার ডুব দেয়। মানুষ সার্বক্ষণিক অক্সিজেন নিচ্ছে। বাতাসের মধ্যে অপর উপাদান নাইট্রোজেন । এই নাইট্রোজেন বজ্রপাতের ফলে নাইট্রেটে পরিনত হয়ে জমিনে পড়ে। নাইট্রেট মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করে। কুদরতে আল্লাহ’র অশেষ রহমতের মধ্যে এটি একটি। এই নাইট্রেট টাকা দিয়ে কিনতে হয় না। নাইট্রেট মাটির উর্বরতা শক্তি বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। বজ্রপাতে মানুষের মৃত্যু হয় খোলা জায়গায় থাকলে। বজ্রপাতে মৃত্যু বরণকারী মানুষ শহীদের মর্যাদা লাভ করেন। তাই বলে আমরা বলছি না, আপনি বজ্রপাতের সময় শহীদ হওয়ার জন্য খোলা স্থানে দাঁড়িয়ে থাকুন। নিরাপদ স্থানে অবস্থান করুন। আর উপর থেকে মৃত্যুর ফয়সালা যেভাবে করা হয়েছে, সেই ভাবেই হবে। এর কোন ব্যতিক্রম হয় না। তবে মহান আল্লাহ ইচ্ছা করলে আপনার আয়ূ বাড়িয়ে দিতে পারেন। বজ্রপাতে ভীত হবেন না। আল্লাহ রাব্বুল আলমিন যে কোন দুর্যোগের সময় সাবধান থাকতে বলেছেন। দোয়া পড়তে বলেছেন। শুধু বজ্রপাত-ঝড়-বৃষ্টির সময় নয়, চন্দ্র-গ্রহণ, সূর্য-গ্রহণ ,ছুটে আসা উল্কার সময় আল্লাহকে স্মরণ করুন। প্রার্থণা করুন নিজের জন্য, পিতা-মাতা, সন্তানের জন্য ,প্রতিবেশী-বন্ধু-বান্ধবদের জন্য। ঝড়-বজ্রপাতের সময় এই দোয়া পড়া উত্তম :‘ আল্লাহুম্মা ইন্নি আস’আলুকা খাইরাহা ওয়া খাইরা মা-ফীহা ওয়া খাইরা মা উরসিলাত বিহি, ওয়া আউযুবিকা মিন শাররিহা, ওয়া শাররি মা-ফীহা, ওয়া শাররি মা উরসিলাত বিহ।
হে আল্লাহ, আমি আপনার নিকট প্রার্থনা করি এর কল্যাণ, এর মধ্যকার কল্যাণ এবং এর সাথে যা প্রেরিত হয়েছে তার কল্যাণ। আর আমি আপনার আশ্রয় চাই এর অনিষ্ট থেকে, এর ভেতরে থাকা অনিষ্ট থেকে এবং এর সাথে যা প্রেরিত হয়েছে তার অনিষ্ট থেকে।
উত্তর দিচ্ছেন ঃ মুরশাদ সুবহান
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন