বাস, ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন ভাংচুর ও শ্রমিকদের নিরাপত্তার দাবিতে সিরাজগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট ডেকেছে মালিক-শ্রমিকদের সংগঠনগুলো।
শুক্রবার (৩ আগস্ট) সকাল থেকে জেলার সব রুটে যানবাহন চালানো বন্ধ রেখেছেন শ্রমিকরা। বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার সব যানবাহনও।
এছাড়া একই কারণসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে সুনামগঞ্জ, চুয়াডাঙ্গা, পাবনাসহ বেশ কয়েকটি জেলায় অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার রুটে যানবাহন চালানো বন্ধ রেখেছেন মালিক-শ্রমিক সংগঠনগুলো।
সিরাজগঞ্জ জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আনছার আলী বলেন, ছাত্র আন্দোলনের নামে সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ১৫টি ট্রাক, পাঁচটি বাস, তিনটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা ও দু’টি মাইক্রোবাস ভাংচুর করা হয়। এতে আমাদের শ্রমিকরা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন। এ কারণে আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য যানবাহন চালানো বন্ধ রেখেছি।
জেলা বাস, মিনিবাস ও কোচ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেজবাহুল ইসলাম লিটন বলেন, আমাদের যানবাহন ও শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করা পর্যন্ত কেউ রাস্তায় বের হবেন না।
রোববার (২৯ জুলাই) রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বেপরোয়া দুই বাসের চাপায় নিহত হন শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের শিক্ষার্থী দিয়া ও করিম। আহত হন আরও কয়েকজন। এ ঘটনার প্রতিবাদে তখন থেকেই ঢাকার রাজপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে সারাদেশে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সিরাজগঞ্জ শহরের বাজার স্টেশন এলাকায় বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বেশ কিছু যানবাহন ভাংচুর করে ওই সময়। গাড়ি ভাংচুরের প্রতিবাদে দুপুর ২টার দিকে শহরের বাজার স্টেশন স্বাধীনতা স্কয়ার থেকে ঢাকা রুট অবরোধ করে পাল্টা বিক্ষোভ করেন শ্রমিকরা। রাতে বিষয়টি নিয়ে বাস, ট্রাক ও অটোরিকশা মালিক-শ্রমিক সংগঠনের জরুরি যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা না দেওয়া হলেও যানবাহন বের না করার সিদ্ধান্ত হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন