এবার সৌর ঝড়ে রহস্য ভেদে নেমেছে বিজ্ঞানীরা। এ লক্ষ্যে নাসা সূর্যের ভয়ঙ্কর উত্তপ্ত এলাকায় ১৫০ কোটি ডলারে নির্মিত মহাকাশযান পাঠাতে যাচ্ছে। এটি মানুষের পাঠানো প্রথম কোন মহাকাশযান যা সূর্যের সবচেয়ে কাছাকাছি পৌঁছবে। বিজ্ঞানীরা এই মহাকাশযানের মাধ্যমে বিস্ময় ও রহস্যে ভরা এই নক্ষত্রের ছবি ধারণ ও তা পর্যবেক্ষণের সুযোগ পাবেন। এই মিশনের নাম দেয়া হয়েছে ‘টাচ দ্য সান’। ১১আগস্ট ফ্লরিডার কেপ ক্যানাভেরাল থেকে মহাকাশযান পার্কার সোলার প্রোব উৎক্ষেপণ করা হবে। প্রথম এই প্রোবটি সুর্যের আবহমন্ডল করোনা অঞ্চলে প্রবেশ করবে। প্রোবটি করোনা কিভাবে কাজ করে সেটি বুঝতে বিজ্ঞানীদের সুযোগ করে দেবে। করোনায় কিভাবে মহাকাশে সৌরঝড়ের সৃষ্টি হয় তা জানা যাবে। এই সৌরঝড়ের প্রভাবে পৃথিবীর বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থাও অচল হয়ে পড়ে। নাসার সোলার সায়েন্টিস্ট অ্যালেক্স ইয়ুং বলেন, ‘পৃথিবীর আবহাওয়ার ধারণা পেতে করোনা সম্পর্কে জানা আমাদের জন্য অত্যন্ত মৌলিক ও গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।’ তিনি বলেন, ‘করোনা আমাদের কাছে রহস্যময় এবং অজানা বিষয়।’ ৯১ বছর বয়সী সৌর জ্যোতির্বিজ্ঞানী ফুগনি পার্কারের নামে এই মহাকাশযানের নাম রাখা হয়েছে পার্কার সোলার প্রোব। প্রোব মহাকাশযানটি সুর্যের সারফেসের ৩০ লাখ ৮৩ হাজার মাইল দূর থেকে সূর্য প্রদক্ষিণ করবে। প্রোবটির সূর্যের দিকের অংশে তাপমাত্রা হবে প্রায় ২৫০০ ডিগ্রী ফারেনহাইট (১৩৭০ ডিগ্রী সেলসিয়াস)। তাপ নিরোধক আবরণের মাধ্যমে প্রোবটির সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রোবের ভেতরের তাপমাত্রা থাকবে ৮৫ ডিগ্রী ফারেনহাইট। জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির অ্যাপ্লাইড ফিজিক্স ল্যাবের প্রজেক্ট সায়েন্টিস্ট নিকি ফক্স বলেন, প্রোবটির গতি ঘন্টায় ৪ লাখ ৩০ হাজার মাইল। এটি মানুষের তৈরি সবচেয়ে দ্রæত গতির যান। ৭ বছরের মিশনে প্রোবটি ২৪ বার সূর্যের করোনা অঞ্চল প্রদক্ষিণ করবে। এএফপি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন