রাউজান উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হাসান মুরাদ রাজু (৩৫) কে গতকাল সোমবার বেলা আড়াইটার দিকে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ চালায় চিহিৃত সন্ত্রাসীরা। জানা গেছে, হাসান মুরাদ রাজু সোমবার বেলা আড়াইটার দিকে রাউজান সদর থেকে ১৫ আগস্টের অনুষ্ঠানের ব্যানার ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি নিয়ে মোটর সাইকেল যোগে হলদিয়ার আমিরহাট ফিরছিলেন। পথিমধ্যে ডাবুয়া ইউনিয়নের মওলানা দোস্ত মুহাম্মদ সড়কস্থ নিরিয়ার টেক নামক স্থানে ৩টি মোটর সাইকেল যোগে আসা ৫/৬ জন অস্ত্রধারী যুবক রাজুকে অস্ত্র ও কিরিচ দিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে। এতে রাজুকে প্রথমে গুলি করে অস্ত্রধারীরা। ভাগ্যক্রমে গুলি বের না হওয়ায় প্রাণে বেচে গেলেও সন্ত্রাসীরা তাকে ধারালো কিরিচ দিয়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে জখম করার সময় কিরিচটি মাটিতে পড়ে গেলে কিরিচটি রাজু হাতে নিয়ে ঘুরাতে থাকে। এক পর্যায়ে আক্রমণকারীরা দক্ষিণ দিকে মোটর সাইকেল যোগে পালিয়ে যায়। এ খবর জানাজানি হয়ে গেলে কয়েকশ ছাত্রলীগ যুবলীগের নেতাকর্মী আমিরহাটে জড়ো হয়ে যায়। ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম ইউনিয়ন পরিষদ থেকে খবর পেয়ে দ্রুত আমিরহাট বাজারে এসে রাজুকে তার ব্যবহৃত জীপ গাড়িতে তুলে দিয়ে রাউজান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। এ খবর উপজেলার সদর সহ বিভিন্ন ইউনিয়নে ছড়িয়ে পড়লে রমজান আলী হাটের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেতাকর্মীরা ভিড় জমান। সেখানে উপজেলা চেয়ারম্যান এহছানুল হায়দার চৌধুরী বাবুল,ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম,উপজেলা যুবলীগ সভাপতি জমির উদ্দিন পারভেজ,স্থানীয় চেয়ারম্যান বিএম জসীম উদ্দিন হিরু,হলদিয়া যুবলীগের সভাপতি মুহাম্মদ মনসুর সহ কয়েকশ নেতাকর্মী তাকে দেখতে যান। এদিকে আক্রমণের শিকার হাসান মুরাদ রাজু সাংবাদিকদের জানান, আমি রাউজান সদর থেকে আসার পথে আমাকে প্রথমে গুলি করা হয়,কিন্তু ভাগ্যক্রমে গুলি বের না হওয়ায় তারা আমাকে কিরিচ দিয়ে আক্রমণ করে। রাজু জানান, আমি দুইজনকে চিনতে পেরেছি, একজন হচ্ছে সুমন আরেকজন জাহাঙ্গীর। হলদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মুক্তিযুদ্ধা শফিকুল ইসলাম জানান, ঘটনার সাথে জড়িত দুজনই ইয়াবা ব্যবসায়ী ও সেবনকারী। এদের মধ্যে সুমন গত দু-তিন মাস আগে ইয়াবাসহ ধরা পড়ে জেলে যাই। জেল থেকে এসে সে আবারো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছে। সুমন হলদিয়া ইউনিয়নের এয়াছিন নগর শামসু ফকিরের ছেলে আর জাহাঙ্গীর জানিপাথর এলাকার আবু আহম্মদের ছেলে। ঘটনার পরপরই রাউজান থানার সেকে›ড অফিসার নুরুন নবী ও চিকদাইর ভিটের ইনচার্জ অলিউল্লাহর নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িতদের ধরতে তৎক্ষণাৎ অভিযান চালায়। এদিকে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, যুবলীগ নেতা হাসান মুরাদ রাজু হলদিয়ায় ইয়াবা সেবন ও বিক্রির বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ায় ইয়াবা ব্যবসায়ীরা তার বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছে। অন্যদিকে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর শাহাদাৎ বার্ষিকী পালনে হলদিয়া ইউনিয়নের বিশাল মেজবান সহ অনুষ্ঠান সফলের লক্ষে রাজু প্রায় পক্ষকাল ব্যাপী ঘামঝড়া পরিশ্রম করে চলছে। এ ঘটনায় রাউজান থানায় মামলা দায়েরের পক্রিয়া চলছে বলে থানার সেকে›ড অফিসার নুরুন নবী জানান। আক্রমণের শিকার হাসান মুরাদ রাজু হলদিয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডস্থ উত্তর সর্তা এলাকার আবুল কালামের ছেলে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন