নিজেকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিদর্শক পরিচয় দিয়ে সাব রেজিস্ট্রি অফিসের ফাইলপত্র দেখতে চান তিনি। একপর্যায়ে ফাইল জব্দ করে এক কর্মকর্তাকে জেলে পাঠানোরও হুমকি দেন। এক লাখ টাকা দিলে আপাতত বিষয়টি চেপে যাবেন বলেও ইশারা দেন। অতঃপর গতকাল মঙ্গলবার চাঁদা নিতে এসে ধরা পড়েন তিনি। দুদক কর্মকর্তা পরিচয়ে চট্টগ্রাম জেলা রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেফতার প্রতারকের নাম রেজাউল ইসলাম চৌধুরী (৪৭)। তার বাসা নগরীর খুলশী থানার লালখান বাজারে হিলসাইড আবাসিক এলাকায়। গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায়। দুদকের চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা এবং নগরীর কোতোয়ালী থানা পুলিশ আদালত ভবন এলাকার রেজিস্ট্রার অফিস থেকে এ ভুয়া কর্মকর্তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসিন জানান, গত ৯ আগস্ট রেজাউল নিজেকে দুদকের পরিদর্শক পরিচয় দিয়ে সাব রেজিস্ট্রার জেড এম ইমরান আলীর কক্ষে যান। একপর্যায়ে অফিসের ফাইলপত্র জব্দ করা এবং মামলায় জেলে পাঠানোর হুমকি দেন। পরে বিষয়টি আপস মীমাংসার কথা বলে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। দাবি মোতাবেক গতকাল তিনি টাকা আনতে যান সাব রেজিস্ট্রার মোস্তাফিজ আহমেদের কক্ষে। রেজাউলের আচরণে সন্দেহ হলে মোস্তাফিজ বিষয়টি দুদকের জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক লুৎফুল কবির চন্দনকে জানান। এরপর জেলা কার্যালয় থেকে একটি টিম ও থানা পুলিশ গিয়ে রেজাউলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। একপর্যায়ে রেজাউল প্রতারণার বিষয়টি স্বীকার করে নেন। রেজাউলের বিরুদ্ধে জেলা রেজিস্ট্রি অফিসের কর্মচারী সুমন দে বাদী হয়ে কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন